অক্টোবর ১৭, ২০২৩ ৯:১৩ পূর্বাহ্ণ
ডুমুরিয়া হাসপাতালে চিকিৎসকদের দ্বারা লাঞ্ছিতের শিকার হয়েছেন বৈশাখী টেলিভিশনের খুলনা প্রতিনিধি ও দৈনিক খুলনার মফস্বল সম্পাদক শেখ হেদায়েতুল্লাহ। তিনি ১৬ অক্টোবর সোমবার দুপুরে রোগীদের ভোগান্তি, ঔষূধ পাচার, মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভ, ডায়াগনস্টিক সেন্টারের প্রতিনিধিদের দৌরাত নিয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে যান। এ সময়ে বর্হিবিভাগের টিকিট কাউন্টার ও রোগীদের অপেক্ষার স্থানে রোগীদের সাথে কথা বলছিলেন।
এ সময়ে হাসপাতালের চিকিৎসক রিফাতসহ বেশ কয়েকজন এসে মোবাইল ফোন ও বৈশাখী টেলিভিশনের বুম ( মাইক্রোফোন) কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন বলে শোনা যায়। এক পর্যায়ে তিনি হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যেতে হুমকি দেওয়া হয়। অন্যথায় পুলিশ দিয়ে হয়রানির কথাও বলেন বলে তিনি জানান। এসময়ে সাংবাদিক শেখ হেদায়েতুল্লাহ বলেন, যেহেতু উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মিটিংয়ে রযেছেন তাই ভিডিও করার জন্য অনুমতি নেয়া হয়নি। তাছাড়া পাবলিক প্লেসে ভিডিও করতে কারও অনুমতি নেয়ার জন্য সাংবাদিকের প্রয়োজন পড়ে না। তিনি বলেন, কর্মকর্তার সাথে তিনি কথা বলবেন। এক পর্যায়ে চিকিৎসক নাইম, সাব্বিরসহ আরও কযেকজন তেড়ে আসেন। এ সময়ে ডুমুরিয়া উপজেলার দৈনিক ইত্তেফাকের সাংবাদিক জিএম আব্দুস সালাম ঘটনাস্থলে পৌছান। তার সঙ্গেও ডাক্তার রিফাত ও নাইম দুর্ব্যবহার করে বলেন, সাংবাদিকতা শিখিয়ে দেয়া হবে। অমন দুচারজন সাংবাদিক পিছনে পিছনে ঘুর ঘুর করে থাকে আমাদের।
শেষ পর্যায়ে সাংবাদিকদ্বয় উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কক্ষে এক প্রকার টেনে হিচড়ে নিয়ে গিয়ে কক্ষ আটকে দেয়ার চেষ্টা করা হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা কাজল বিশ্বাস তার কক্ষ থেকে বের হয়ে আসলে সাংবাদিক শেখ হেদায়েতুল্লাহ বিএমএ খুলনার সভাপতি ডাঃ শেখ বাহারুল আলমকে ফোন দেন। তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সাথে কথা বললে সে সময়ে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়।
ঘটনার কিছু পরে ডুমুরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহনেওয়াজ হোসেন জোয়াদ্দার ঘটনাস্থলে উপন্থিত হন এবং ঘটনা শুনে দুঃখজনক বলে উল্লেখ করেন।
এ বিষয়ে খুলনা জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ সবিজুর রহমান বলেন, সংরক্ষিত এলাকা ছাড়া সাংবাদিকরা যে কোন স্থানের ভিডিও করতে পারেন। এতে আইনগত কোন বাধা নেই। আর হাসপাতালের বর্হিবভাগের ভিডিও করার কোন সমস্যা তো নয়। তিনি বলেন, কোন স্থানে যদি নিষেধাজ্ঞা সম্বলিত বা গোপনীয়তা রক্ষার বিষয় থাকে সেখানকার ভিডিও চিত্র ধারণ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হয়।
বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন খুলনা শাখার সভাপতি ডাঃ শেখ বাহারুল আলম বলেন, সরকারি কোন প্রতিষ্ঠানের ভিডিও করতে সাংবাদিকদের অনুমতি নেয়ার প্রয়োজন পড়ে না। যদি সংরক্ষিত কোন স্থাপনা হয় বা নিষেধাজ্ঞা থাকে তবে অনুমতি নিয়ে ভিডিও করা উচিৎ। তিনি বলেন, চিকিৎসক ও সাংবাদিকদের সাথে যে ঘটনা ঘটেছে এটি দুঃখজনক।