গরম মানেই লিচুর মৌসুম। অধিকাংশেই পছন্দ করেন রসাল এই ফল খেতে। খেতে ভালো, মন ভালো করে। আবার লিচুতে পানির পরিমাণ এতই বেশি যে, শরীরও ঠান্ডা রাখে। এ সময়ে লিচুর শরবত হোক বা লিচুর পায়েস— নানা জনে, নানা রকম পদও বানান এই ফল দিয়ে।
লিচুর আছে নানা গুণও। নানা ধরনের ভিটামিন ও বিভিন্ন রকম খনিজ পদার্থ থাকে লিচুতে। ফলে শরীরের যত্ন নেয় এই ফল। কিন্তু এতে শর্করার মাত্রা অনেকটাই বেশি। তাই অনেকের চিন্তা থাকে ডায়াবেটিস রোগীরা এই ফল খেলে কোনো ক্ষতি হতে পারে কি না, তা নিয়ে।
তবে চিকিৎসকদের মত, লিচু আলাদাভাবে কোনো ক্ষতি করে না। যে কোনো ফলেই কিছুটা পরিমাণ শর্করা থাকে। লিচু বেশি মিষ্টি মানে যে তাতে উপস্থিত শর্করা ক্ষতি করবে, এমন নয়।
লিচুকে মিষ্টি স্বাদ দেয় ফ্রুকটোস। এ ক্ষেত্রে বিপাকের জন্য ইনসুলিন প্রয়োজন পড়ে না। ফলে মেপে খেলে সমস্যা নেই। কিন্তু ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য কোনো খাবারই অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া ভালো নয়। সে দিকে খেয়াল রাখতেই হবে। তবে মাঝেমধ্যে মিষ্টি ফল খেলে খুব সমস্যা হবে না।
তবে একটু ভেবেচিন্তে খাওয়া যায় এই ফল। ডায়াবেটিসের রোগীরা মাঝেমধ্যে সকালের দিকে লিচু খেতে পারেন। সে সময়ে বিপাক হার বেশি থাকে। তবে পেট ভরে অন্য খাবার খাওয়ার পর, কিংবা ঘুমাতে যাওয়ার আগে এই ধরনের মিষ্টি ফল খেলে শর্করার মাত্রা বাড়তে পারে।
