ধারাবাহিক বাজে ব্যাটিংয়ে দলকে বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দিচ্ছেন বাংলাদেশের টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানরা। চারে মুমিনুলের টানা ব্যর্থতা, দীর্ঘ হচ্ছে দিনের পর দিন। সমস্যা সমাধানে উদ্যোগী হওয়ার পরামর্শ সাবেকদের। তারা বলছেন, প্রয়োজনে জাতীয় দল থেকে স্বেচ্ছায় তার নেয়া উচিত সাময়িক নির্বাসন। জয়কে অহেতুক শট খেলা থেকে থাকতে হবে বিরত। বিশ্লেষকরা বলছেন, শান্তর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়ার এখনই সময়।
মুমিনুল হক সৌরভ। সাদা পোশাকে জাতীয় দলের অটো চয়েস। কিন্তু এখন আর সৌরভ ছড়াচ্ছে না মিনির ব্যাট। দিনে দিনে টেস্টে তার ব্যাটিং হচ্ছে আরও টেস্টলেস।
একের পর এক দৃষ্টিকটু আউট, দলকে ঠেলে দিচ্ছে খাদের কিনারায়। টপ অর্ডারে টাইগারদের টানা ব্যর্থতার দায় তার ওপরও বর্তায়। সবশেষ ৯ টেস্টে মোটে একটি ফিফটি। যার মধ্যে ৫টিতেই ডাক। অবস্থা এমন যে টিম ম্যানেজমেন্টের গলার কাঁটা হয়ে আছেন বিঁধে। যাকে উগরে কিংবা গিলে ফেলা কোনোটাই সম্ভব হচ্ছে না। দলের ভালোর জন্যই সিদ্ধান্তটা তাই মিনির কোর্টেই ঠেলে দিলেন সাবেকরা।
বাংলাদেশের সাবেক ক্রিকেটার নাজমুল হোসেন বলেন, এটা কিন্তু দলেও একটা প্রভাব পড়ছে। এখন মুমিনুলেরই নিজের সিদ্ধান্তটা নেয়া উচিত। ও যদি মনে করে, বিরতি নিলে সে ভালোভাবে ফিরে আসতে পারবে তাহলে তাই করা উচিত। আর টিম ম্যানেজমেন্টকেও তাকে সাপোর্ট করা উচিত।
মুমিনুলের মতোই নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাট বেকায়দায় ফেলছে বাংলাদেশ দলকে। টপ অর্ডারে খুব একটা বিকল্প না থাকার সুযোগটাই পাচ্ছেন এ বাঁহাতি। বিপরীতে মাহমুদুল হাসান জয় দারুণ কিছু ইনিংস খেললেও ওপেনিংয়ে আস্থার প্রতিদান দিতে ব্যর্থ। খুব কাছ থেকে এ দুই উদীয়মানকে পর্যবেক্ষণ করেছেন টাইগারদের এইপি ইউনিটের কোচ চাম্পাকা রামানায়াকে। প্রশ্ন ছিল সমস্যাটা কোথায়?
বিসিবির হাই পারফর্মেন্স ইউনিটের কোচ চাম্পাকা রামানায়াকে বলেন, যে কোনো ব্যাটসম্যানের জন্য শুরুটা বেশ কঠিন। সে অনেক তরুণ বয়স মাত্র ২১। নিউজিল্যান্ড কিংবা দক্ষিণ আফ্রিকা সে নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়েছে। একটা একশ রানের ইনিংস খেলেছে। দেখুন সে একাই শূন্য রানে আউট হয়নি, দলের অনেক সিনিয়র ক্রিকেটারও শূন্য করেছে। তাকে অপ্রয়োজনীয় শট খেলার ক্ষেত্রে আরও সাবধানী হতে হবে। আর শান্তর কথা যদি বলেন, আধুনিক ক্রিকেটে খারাপ খেলে আপনি দীর্ঘ সময় দলে টিকে থাকতে পারবেন না। তার সমস্যাটা মানসিক না অন্য সেটা তাকেই খুঁজে বের করতে হবে।
দ্বিতীয় ইনিংসে সোহান দারুণ ব্যাটিং করলেও প্রথম ইনিংসে তার আউট হওয়ার ধরণ ছিল খুবই বাজে। এ স্লটে তাকে টিকে থাকত হলে খেলতে হবে ইতিবাচক ক্রিকেট।
সেই সঙ্গে ক্রিকেটারদের অধিনায়কের সাকিবের বার্তাটাও মনে করিয়ে দিলেন বিশ্লেষকরা। স্কোয়াডে এখন আর নেই কোনো অটোচয়েস। তাই দলের সঙ্গে নিজের ক্যারিয়ারের স্বার্থেই এখনই ভালো খেলাটা যে অত্যাবশাকীয়। যে পালাবদল শুরু হোক দ্বিতীয় টেস্ট থেকেই।