ঢাকা–চটগ্রাম মহাসড়কের মুন্সিগঞ্জ গজারিয়া মেঘনা ব্রিজ জামালদি প্রান্তে মেঘনা ব্রিজের দক্ষিন প্রান্তে মেঘনা নদীর পাড় বেষ্টিত খোলামেলা মনোরম এক পরিবেশ। যেখানে মানুষ বিকেলে বা ছুটির দিন পরিবার নিয়ে,বন্ধু–বান্ধব নিয়ে সময় কাটাতে ভিড় জমাতেন। মেঘনা ব্রিজের নিচের জায়গাটিতে বসে নদীর কোমল বাতাস, মেঘনা নদীর ঢেউ, প্রকৃতির এক মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতিদিন শত শত মানুষের যাতায়ত। ইদানিং কালে বেশ কিছু সংখক বেদে বহর অস্থায়ী ভাবে মেঘনা ব্রিজের পাদদেশে বসতি স্থাপ্ন করে। দিন দিন বেদের বহর সংখ্যা বাড়তে বাড়তে ওই বিশেষ এলাকাটি তার সৌন্দর্য হারিয়ে ফেলেছে। পরিবেশ বিপন্ন ও তার বৈচিত্র্য হারিয়ে এখন ওই স্থানটিতে মানুষের অবসর সময় কাটানোর মতন উপযোগী নয়। গজারিয়া উপজেলায় দিন দিন মানুষের চাপ বাড়াতে, মানুষের বিনোদন বা ঘুরার মতন পর্যাপ্ত তেমন জায়গা নেই বললেই হয়। অল্প দিনের ব্যবধানে মেঘনা ব্রিজের ওই জায়গাটা মানুষের রিফ্রেশমেন্টের জন্য বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
দুঃখজনক হলেও সত্য যে দেশের বেদে সম্প্রদায়ের বেদে বসতী সেখানে বসতি স্থাপন করে। বেশ নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর এক পরিবেশ বানিয়ে ফেলেছে। নদীর পানি ও প্রকৃতিক পরিবেশ বিপর্যয় এর মুখে। যা সাধারণ মানুষের বিচরণ ও ভ্রমণের উপযোগী নয়। পরিচ্ছন্ন সবুজে ঘেরা সুন্দর এঈ জায়গাটি এখন নোংরা দুর্গন্ধময়। গাছপালা কেটে পরিবেশ এর ভারসম্য নষ্ট করে ফেলেছে।
সেই সাথে আশেপাশের এলাকা গুলোতেও বেদে মহিলাদের নানা প্রকার হয়রানি মূলক কর্মকান্ড ও উক্তত করার অবিযোগ ও আছে।
তাই আমাদের গজারিয়া উপজেলা প্রশাসন, গজারিয়া জনপ্রতিনিধি ও যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে বিশেষ অনুরোধ বেদে সম্প্রদায়ের এই বসতি দ্রুত উচ্ছেদ সহ উক্ত স্থানটি সাধারণ মানুষের জন্য অবমুক্ত করা হোক।