খুনের মামলা থেকে বাঁচতে  ও পাল্টা মিথ্যা মামলা সাজাতে প্রতিবেশীকে বিষপানে হত্যার চেষ্টা

দেশজুড়ে

জুন ২৫, ২০২৩ ৬:২০ অপরাহ্ণ

মোঃ আব্দুল হান্নান,ব্রাহ্মণবাড়িয়াঃ-

খুনের মামলা থেকে বাঁচতে আর বাদী ও তার আত্মীয় স্বজনকে ফাঁসাতে খুনের মামলার ৫ ও ৭ নং আসামী শান্তান মিয়া ও গিয়াস উদ্দিন মিলে গ্রামের এক অসহায় নিরিহ বিষপান করা লোককে মেরে আরো একটি মিথ্যা খুনের মামলা সাজাতে গিয়ে ব্যর্থ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

ঘটনাটি ঘটেছে গত ১৯ জুন ২০২৩ রোজ সোমবার সকাল অনুমান নয় ঘটিকার সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার ভলাকুট ইউনিয়নের খাগালিয়া গ্রামে। সরেজমিন এলাকায় গিয়ে,ভিকটিম,ভুক্তভোগী আর স্থানীয়দের সাথে কথা বলে পাওয়া গেছে এমন তথ্য। ছয় সন্তানের জনক ভিকটিম গ্রামের মৃত মকবুল মিয়ার ছেলে নবী হোসেন( ৭০), তার স্ত্রী রিনা বেগম (৬০), ভাতিজা মালেক মিয়া (২৮) ইউপি সদস্য মোঃ রব মিয়া সহ আরো অনেকেই জানায় নবী হোসেনের কোন জায়গা সম্পত্তি ও আয় রোজগারের ব্যবস্থা না থাকায় তিনি মনের ক্ষোভে সকাল নয় ঘটিকার সময় নিজ ঘরে বিষপান করে। পরে নবী হোসেনকে নাসিরনগর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরন করে। সেখানে গিয়ে উপস্থিত হয় খুনের মামলার ৫ ও ৭ নং আসামী শান্তাজ ও গিয়াস উদ্দিন। তারা নবী হোসেনকে বলে তুমি বলবা ইউপি সদস্য রব মিয়ার ছেলে আরমান মিয়া ও মফিজ মিয়ার ছেলে ইয়াছিন মিয়া ধরে রাখে আর জুলুশের স্ত্রী ও মেয়ে মিলে বিষ খাওয়াইয়া দেয়। এ কথা বলে মোবাইলে রেকর্ড করে নবী হোসেনকে হাসপাতালের চর্তুথ তলায় নিয়ে মেরে ফেলার চেষ্টা চালায়।বুঝতে পেরে নবী হোসেন কান্না শুরু করে বলে তাড়াতাড়ি আমাকে বাড়িতে নিয়ে যাও।পরে নবী হোসেনকে বাড়িতে নিয়ে আসলে তখন সে স্থানীয় চেয়ারম্যান,মেম্ভার ও গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গকে বষয়টি জানায়।

স্থানীয়রা জানায়,২২ এপ্রিল ২০২৩ তারিখে খাগালিয়া গ্রামে বৈশাখ মাসে জমি থেকে নতুন ধান তোলার জন্য নিজের জায়গা খলা তৈরীকে কেন্দ্র করে দু পক্ষের মাঝে সংঘর্ষে জামাল মিয়া (৪৩) নামে এক লোক খুন হয়। ওই ঘটনায় নিহতের ভাই মফিজ মিয়া বাদী হয়ে মৃত চান্দু মিয়ার ছেলে শান্তাজ মিয়া (৫০)কে ৫ নং ও মৃত ফজু মিয়ার ছেলে গিয়াস উদ্দিন( ৫৫) কে ৭ নং আসামী করে মোট ৫৭ জনের নামের নাসিরনগর থানার খুনের মামলা নং ১৩/৪৯ তারিখ ২৩ এপ্রিল ২০২৩ রুজু করে। মামলার পর আসামীদের অনেকই জেল থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে আসে। আরবাকীরা উচ্চ আদালত থেকে আগাম জামিনে আসে।স্থানীয়রা এ ঘটনার সুবিচার দাবী করছে।

অভিযুক্ত শান্তাজ ও গিয়াস উদ্দিনের সাথে যোড়াযোগের চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভলাকুট ইউপি চেয়ারম্যান রুবেল মিয়া জানায় যে ছেলেটা বিষ খেয়েছে তার কিছুটা মানষিক সমস্য রয়েছে। সত্য মিথ্যা খোঁজ নিয়ে জানতে হবে।তবে চেয়ারম্যান যাকে ছেলে বলছে স্থানীয়রা জানায় তার বয়স ৭০ বছর আর তার তিন ছেলে ও তিন মেয়ের বিয়ে হয়েছে।

মুঠোফোনে নবী হেসেনের হত্যা চেষ্টার বিষয়ে জানতে চাইলে চাতলপাড় পুলিশ ফাঁড়ির আইসি মোঃ আবুল হোসেন বলেন আমি ছুটিতে ছিলাম।পরে ঘটনা শুনে তদন্তে যাই। গিয়ে শুনি নবী হোসেন ঋণের জ্বালায় বিষপান করেছেন।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *