ক্রিকেট ম্যাচকে ঘিরে দ্বন্দ্বের জেরে সংঘর্ষে আহত ৩০

খেলা দেশজুড়ে

এপ্রিল ১৩, ২০২৪ ৬:১৮ অপরাহ্ণ

ক্রিকেট ম্যাচকে ঘিরে দ্বন্দ্বে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ আহত ৩০,গ্রেপ্তার ১০

ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে দুই পক্ষের মাঝে সংঘর্ষ হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে উপজেলার ফান্দাউক ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে প্রায় এক ঘন্টা ধরে চলে এ সংঘর্ষ। এতে নারীসহ উভয় পক্ষের ৩০ জন আহত হয়।

ওই ঘটনায় পুলিশ মনির মিয়া ৩৫,জামাল মিয়া ৩৫,ফাইজুল ৩৮,ফারুক ৬০, রিফাত ২৪,বিজয় ২০,দিদার, সাহাব উদ্দিন ২০,আজহারুল ১৮,শিমুল ১৮ কে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোর্পদ করেছেন।

স্থানীয় লোকজন জানায়, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বৃহস্পতিবার ফান্দাউক গ্রামের কিশোর-তরুণরা দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচের আয়োজন করে। খেলা চলাকালীন দুই তরুণের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়। যা এক পর্যায়ে সংঘর্ষে গড়ায়।

এ সংবাদ বড়দের কাছে পৌঁছালে তাদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। একটি সূত্র জানায়, বিবদমান দুই পক্ষের একটি পক্ষকে সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল আওয়াল সমর্থন দেন। অপর পক্ষ সমর্থন পায় মো. রিপন মিয়া নামের এক প্রভাবশালী ব্যক্তির। বিষয়টি নিয়ে সালিশে বসে আলোচনার সিদ্ধান্তও হয়।

এলাকাবাসী জানায়, শুক্রবার জুমার নামাজ পড়তে সাধুপাড়া নূরে মদিনা মসজিদে যান আবদুল আওয়ালের পক্ষের লোকজন। নামাজ থেকে বের হওয়ার পর তাদের ওপর অতর্কিতে হামলা করে রিপন মিয়ার পক্ষের লোকেরা।

এ সংবাদ দ্রুত গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। এতে নারীসহ দুই পক্ষের ৩০ জন আহত হয়। পরে তাদের পুলিশি পাহারায় নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

তাদের মধ্যে মো. নূরে আলম, মো. সজল, নাছির মিয়া, সাগর মিয়া, শিমুল মিয়া, তফু মিয়া, দিদার মিয়া, কাজল মিয়া, ফসাল শিয়া, হৃদয় মিয়া ও নূরেম বেগম আওয়ালের পক্ষের লোক। প্রতিপক্ষের আহতরা হলেন– গোলাম নূর, রুবেল মিয়া, আলা উদ্দিন, শাহনাজ বেগম, জিনিয়া বেগম, ফাতেমা বেগম ও রুজিনা বেগম।

স্থানীয় সূত্র জানায়, আহত আরও বেশ কয়েকজন হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে গেছেন। যে কারণে তাদের নাম জানা যায়নি।

সাবেক ইউপি সদস্য আবদুল আওয়াল এ বিষয়ে বলেন, ‘ছোট বাচ্চাদের ক্রিকেট খেলা নিয়ে সামান্য বাকবিতণ্ডা হয়। বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য স্থানীয়ভাবে বিচার-সালিশের ব্যবস্থাও হয়। কিন্তু আজ শুক্রবার নামাজ পড়তে গেলে রিপন মিয়ার পক্ষের লোকজন আমাদের পক্ষের লোকদের ওপর হামলা করে।’

রিপন মিয়ার পক্ষের মো. রাজা মিয়া বলেন, ‘ঈদের দিন ছোট ছেলেদের মধ্যে মারামারি হয়। স্থানীয় মাতবররা বিষয়ডা শেষ কইরা দিবেন– বলছিলেন।’ তিনি দাবি করেন, জুমার নামাজ থেকে বের হওবার পর আওয়ালের লোকজন তাদের ওপর হামলা করে। এর বেশি কিছু জানেন না তিনি।

নাসিরনগর থানার ওসি মো. সোহাগ রানা সমকালকে বলেন, ফান্দাউকে ক্রিকেট খেলা নিয়ে দুই পক্ষের মারামারি হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশের অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় দশ জনকে আটক করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

মোঃ আব্দুল হান্নান,নাসিরনগর,ব্রাহ্মণবাড়িয়া

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *