ক্যান্টিন বয় থেকে বলিউড সুপারস্টার দিলীপ কুমার

বিনোদন স্পেশাল

জুলাই ৮, ২০২২ ৪:৩৫ পূর্বাহ্ণ

‘জোয়ার ভাটা’ ছবির মাধ্যমে ১৯৪৪ সালে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন দিলীপ কুমার। ৬ দশক ধরে প্রায় ৬৫টিরও বেশি ছবিতে কাজ করেছেন তিনি। গত বছরের ৭ জুলাই হিন্দুজা হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই মহানায়ক।

বলিউডের প্রথম ‘মেথড অ্যাক্টর’ দিলীপ কুমার। দেখতে দেখতে এক বছর হয়ে গেল তিনি নেই। তার মতো কিংবদন্তি অভিনেতার প্রয়াণে শোকস্তব্ধ হয়ে পড়ে গোটা দেশ।

তবে বলিউডের হার্টথ্রব হয়ে ওঠার আগে দিলীপ কুমার কাজ করতেন ব্রিটিশ আর্মি ক্যান্টিনে । সেখানে তৎকালীন প্রথম সারির অভিনেত্রী দেবিকা রানি ও তার স্বামী হিমাংশু রাই তাদের সংস্থা ‘বম্বে টকিজ়’-এ অভিনয়ের সুযোগ দেন প্রয়াত এই বর্ষীয়ান অভিনেতাকে ।

দীর্ঘ ৫৬ বছরের দাম্পত্য জীবনের অবসান ঘটিয়ে সায়রা বানুকে একা রেখেই শূণ্যে পাড়ি জমান তিনি।

মাত্র ১২ বছর বয়সে দিলীপ কুমারের প্রেমে পড়েছিলেন সায়রা বানু। পরে, ১৯৬৬ সালে ২২ বছরের ছোট সায়রা বানুর সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন দিলীপ কুমার।

এর আগে মধুবালার সঙ্গে বড়পর্দায় জুটি হিসেবে কাজ শুরু করার পর সম্পর্কে জড়ান দিলীপ। ‘নয়া দৌড়’ আদালত মামলায় দিলীপ কুমার, মধুবালা এবং তার বাবার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেওয়ার পরে তাদের বিচ্ছেদ হয় বলে জানা যায়।

১৯৪৪ সালে ‘জোয়ার ভাটা’ ছবিতে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন দিলীপ। তবে ১৯৪৭ সালে ‘জুগনু’ ছবি তার প্রথম বক্স অফিস সাফল্য আনে। এরপর তাকে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি।

‘অন্দাজ’, ‘দেবদাস’, ‘জোগন’ ইত্যাদির মতো ছবিতে তার বিরহে কাতর প্রেমিকের চরিত্রায়ণ তাকে ‘ট্র্যাজেডি কিং’-এর তকমা এনে দেয়। বলিউডকে বেশ কিছু ব্লকবাস্টার ছবি উপহার দিয়েছেন তিনি। এরই মাঝে তিনি অভিনয় জগত থেকে বিরতি নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এরপর ১৯৮১ সালে ‘ক্রান্তি’ ছবির হাত ধরে আবার বড়পর্দায় ফেরত আসেন।

ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে অবদানের জন্য ১৯৯১ সালে তাকে ‘পদ্মভূষণ’ ও ২০১৫ সালে ‘পদ্মবিভূষণ’ সম্মানে সম্মানিত করা হয়। ১৯৯৪ সালে দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার পান। তিনি একমাত্র ভারতীয় যিনি পাকিস্তানের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান ‘নিশান-এ-ইমতিয়াজ’-এও ভূষিত হয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *