কক্সবাজারের ক্রাইম জোন গর্জনিয়ায় জোড়া খুনের ঘটনায় থমথমে অবস্হা বিরাজ করছে।ঘটনার ৭২ ঘন্টায় রোহিঙ্গা ডাকাত আবছার কিংবা সহযোগীদের গ্রেপ্তার নেই

দেশজুড়ে

এপ্রিল ২৪, ২০২৪ ৮:২৩ অপরাহ্ণ


জেলা প্রতিনিধি,কক্সবাজার

 

 

কক্সবাজারের রামু উপজেলার ক্রাইম জোন খ্যাত গর্জনিয়ায় ২২ এপ্রিল রাতে পিতা-পুত্র জোড়া খুনের ঘটনায় রোহিঙ্গা ডাকাত গ্যাং লিড়ার আবছার ও তার সহযোগী জাহাঙ্গীর সহ ২৫/৩০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা রুজু হয়েছে রামু থানায়।জোড়া খুনের ৭২ ঘন্টা অতিবাহিত হলে ও গ্রেপ্তার করা যায়নি খুনের সাথে জড়িত রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী আবছার বাহিনীর কাউ কে।

এ ঘটনায় সরেজমিন ঘটনাস্থল ও আশপাশের গ্রামে চাপা আতঙ্ক বিরাজ করছে।এলাকাবাসী কেউ সাংবাদিকদের সাথে এ বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ।তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে সংঘটিত এলাকা মৌলভী ঘোনার কয়েকজন জানিয়েছে,অপরাধীরা দিনের বেলায় আশপাশের অরন্য ঈদগড়,বাইশারী ও গর্জনিয়ার পাহাড়েআত্নগোপনে থাকলে ও রাত গভীর হলে ডাকাত আবছার তার দলবল নিয়ে স্ব শস্ত্র মহড়া দেন। জোড়া খুনের মামলার বাদী কিংবা আত্নীয় স্বজন কে শাসিয়ে  বলেন যে,রোহিঙ্গা আবছার বাহিনীর ক্ষমতা অনেক কেউ আবছার ডাকাতের বিরুদ্ধে মুখ খুললে তাদের ও পরিনতি হবে ভয়াবহ।রামু থানার ওসি ( তদন্ত) ইমন কান্তি চৌধুরী জানান,অপরাধীরা যত বড় হউক আইন তাদের আওতায়  আনতে বদ্ধ পরিকর।গর্জনিয়ার ৩ নং ওয়ার্ড থোয়াঙ্গা কাটা মৌলভীর ঘোনায় পিতা মুহাম্মদ জাফর ও তার পুত্র মুহাম্মদ সেলিম কে অস্ত্র ও ধারালো ছুরি দিয়ে নৃশংস ভাবে খুনের ঘটনায় ডাকাত আবছার ও তার আরেক সহযোগী জাহাঙ্গীর সহ ২৫/৩০ জন অজ্ঞাত নামাকে আসামী করে হত্যা মামলা রুজু হয়েছে।মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির আইসি সাইফুল ইসলাম কে বারবার ফোন দিয়ে বক্তব্য জানার চেষ্টা করে ও ফোন রিসিভ না করায় মামলার অগ্রগতি কিংবা বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

রোহিঙ্গা ডাকাত আবছারের বিরুদ্ধে হত্যা সহ ডাকাতি, অপহরণ,ধর্ষনের মামলার থাকলে ও কখনো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তার টিকিটি ও ছুঁতে পারেনি।

তবে ক্রাইম জোন গর্জনিয়ার থিমছড়ি,থোয়াঙ্গা কাটা,বড়বিল,জুমছড়ি,বাইশারী ও বাঁকখালি এলাকার সচেতন মহল দ্রুত রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী আবছার বাহিনীর প্রধান আবছার ও তার সহযোগীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবী জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *