এই শহরে মানুষের আনন্দের কোনো খোরাক নেই : বাপ্পা মজুমদার

বিনোদন

ডিসেম্বর ৯, ২০২৩ ২:৫৫ অপরাহ্ণ

জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ও সুরকার শুভাশিস মজুমদার বাপ্পা, যিনি বাপ্পা মজুমদার নামে পরিচিত। তরুণ ভক্তদের কাছে তিনি বাপ্পাদা নামে পরিচিত। দলছুট নামে তার ব্যান্ড রয়েছে। গানের জাদুতে পেয়েছেন শ্রোতাদের মনও। তিনি দীর্ঘ দুই যুগেরও বেশি সময় বাংলাগানকে সমৃদ্ধ করেছেন, পৌঁছেছেন মানুষের অন্তরে। নিজের অনুভূতি ও সংগীতের নানা বিষেয় নিয়ে সম্প্রতি তিনি কথা বলেছেন কালবেলার সঙ্গে।

বাপ্পা মজুমদার বলেন, ‘মানুষ এখও কনসার্টে যেতে চায়, কারণ এই শহরের মানুষের আনন্দের কোনো খোরাক নেই। মানুষ অবসরে কি করে, সে হয়তো রেস্টুরেন্টে খেতে যায় অথবা শপিংমলে জিনিস কিনতে যায়। এই দুটো এন্টারটেনমেন্ট। এ ছাড়া আর কোনো বিনোদনের মাধ্যম নেই মানুষের জীবনে, যা ভীষণ রকম অসুস্থ একটি জায়গা বলে আমি মনে করি।

শহরে আরও বেশি মিউজিক্যাল ইভেন্টনসহ শিশুদের খেলার মাঠ থাকা দরকার বলেও মনে করেন বাপ্পা মজুমদার। বলেন, এইগুলো আস্তে আস্তে শহর থেকে হাওয়া হয়ে যাচ্ছে। আমি মনে করি এন্টারটেনমেন্টের জন্য অনেক বেশি ভাবতে হবে মানুষকে। যারা নীতিনির্ধারক তাদের ভাবতে হবে। কারণ এই বিষয়গুলো না থাকলে অসুস্থতা আরও বাড়তে থাকবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের আবহাওয়ায় মানুষ শীতকালে কনসার্টে যেতে পছন্দ করে। ঠান্ডা থাকার এ সময় মানুষের আরাম হয়। গরমকালে তীব্র গরমে মানুষ অস্থির হয়ে যায়, যে কারণে শীতে কনসার্ট বেশি হয়। তারপরেও বছরব্যাপি কনসার্ট করতে পারলে বা বিভিন্ন ধরনের মিউজিক্যাল ইভেন্টসহ নানা ধরনের আইডিয়া নিয়ে কাজ করতে পারি। তাহলে মানুষ আবারও গানে ফিরবে, বসে গান শুনবে।

গানের স্থায়িত্ব প্রসঙ্গে গুণী এই সংগীতশিল্পী বলেন, আমরা এখন যে গানগুলো শুনছি আমরা বলছি যে এই গানগুলো দুদিন পরে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। অল্প দিন পরেই মানুষের মাথায় আর এসব গান থাকছে না। যার প্রথম কারণ অধিকসংখ্যক গান, মানুষেরও বা দোষ কোথায়। এত বেশি সংখ্যক গান দিলে মানুষ এমনিতেই ভুলে যাবে। প্রতিদিন শত শত বা হাজার হাজার গান বের হচ্ছে তার মধ্যে কয়টা গান শুনছে মানুষ আমরা জানি না।

বাপ্পা মজুমদার বলেন, একটি গানের স্থায়িত্ব পেতেও ১০ থেকে ২০ বছর সময় লাগে। এর পরে বুঝতে পারব গানটি স্থায়ী হয়েছে। সাত দিন আগে কিংবা ৬ মাস আগে একটি গান করে এর স্থায়িত্ব বিচার করাটা ইনজাস্টিজ হবে। সময় দেওয়ার পরে যদি গানটা মনে থাকে, তাহলে বুঝব এই গানটা স্থায়ী গান।

সংগৃহীত কালবেলা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *