ঈদে পোলাও-খাসি পাচ্ছেন বন্দিরা

জাতীয় স্লাইড

জুলাই ১০, ২০২২ ৮:৫৬ পূর্বাহ্ণ

সারাদেশে উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল আজহা। প্রতিবারের মতো এবারো ঈদে পোলাও আর গরু-খাসি দিয়ে আপ্যায়ন করা হবে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের বন্দিদের। ঈদের দিন এসব খাবার বিতরণ করা হবে। কারাগারে থেকে ঈদ উদযাপন করেন ছয় হাজারের বেশি বন্দি। এর মধ্যে মায়ের সঙ্গে ঈদ করে ৬৯ শিশু।

মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের দ্বিতীয় বৃহত্তম এ উৎসবে যে যার মতো আয়োজন করেন ভালো খাবার। কর্মস্থল ছেড়ে নাড়ির টানে বাড়ি ফেরেন সব শ্রেণির কর্মজীবী মানুষ। তবে এ সময়েও চার দেয়ালের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই কারাবন্দিদের। তাই নিয়মের মধ্যে থেকেই ঈদে তাদের মুখে হাসি ফোটাতে এ উদ্যোগ নিয়েছে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারা কর্তৃপক্ষ।

কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বাড়িতে রান্না করা খাবার বন্দিদের দিতে পারবেন না স্বজনরা। কারাগারেই তাদের নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা এবং খাবারের আয়োজন করা হয়েছে। ঈদের দিন সকালে প্রত্যেক বন্দিকে দেওয়া হয়েছে সেমাই-মুড়ি। দুপুরে পোলাও, খাসি, গরু, কোমল পানীয়, সালাদ ও পান-সুপারি দেওয়া হবে। মুসলমান বন্দিদের গরু ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের খাসির মাংস দেওয়া হবে। এছাড়া রাতে দেওয়া হবে সাদা ভাত, ডাল ও রুই মাছ।

জানা গেছে, সম্প্রতি করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় কারাগারে ২৪টি ওয়ার্ডকে কোয়ারেন্টাইন ওয়ার্ড হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। সবার জন্য মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করার পাশাপাশি নতুন বন্দিদের ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইন ওয়ার্ডে রাখার পর সাধারণ ওয়ার্ডে পাঠানো হচ্ছে। এছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে ১৫ দিন পর পর নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে স্বজনদের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ পাচ্ছেন বন্দিরা।

চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার দেওয়ান মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম জানান, ঈদে বিশেষ রান্নার আয়োজন হবে কারাগারে। কারা অভ্যন্তরে থাকা চুলায় রান্নার কাজ করবেন কয়েদিরা। কারাগারের ভেতরেই অনুষ্ঠিত হবে ঈদের জামাত। সকালে বন্দিদের সেমাই ও মুড়ি এবং দুপুরে পোলাও, গরুর মাংস, কোমল পানীয়, পান-সুপারি ও সালাদ সরবরাহ করা হয়। এছাড়া অন্য ধর্মাবলম্বীদের জন্য গরুর মাংসের পরিবর্তে সরবরাহ করা হবে খাসির মাংস। আর রাতে খাবারের তালিকায় থাকবে সাদাভাত, রুই মাছ ও ডাল।

তিনি আরো জানান, অন্য সময়ে ঈদের দিন ও ঈদের পরের দিন বন্দিদের জন্য বাড়ি থেকে রান্না করা খাবার নিয়ে আসতেন স্বজনরা। তবে করোনার কারণে গত দুই বছর ধরে এ সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। এবারো বাড়িতে রান্না করা খাবার বন্দিদের দিতে পারবেন না স্বজনরা। এছাড়া আগে ঈদ উপলক্ষে লঘু অপরাধে দণ্ডিত দু-একজন আসামি সাধারণ ক্ষমায় মুক্তি পেলেও এবার এ ধরনের কোনো আসামি মুক্তি পাচ্ছেন না। তবে জামিন নিয়ে বৃহস্পতিবার ২০০ জন ও শুক্রবার ৩৫৮ জন বন্দি মুক্তি পেয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *