ইউরোপে পোশাক রফতানির পরিমাণ চীনের দ্বিগুণ

ইউরোপে পোশাক রফতানির পরিমাণ চীনের দ্বিগুণ

অর্থনীতি স্লাইড

আগস্ট ৯, ২০২৩ ৯:০৫ পূর্বাহ্ণ

ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) পোশাক রফতানির পরিমাণে প্রথমবারের মতো শীর্ষে উঠেছে বাংলাদেশ। কয়েক দশক ধরে শীর্ষ স্থানটি ছিল চীনের দখলে। ২০২২ পঞ্জিকা বছরে ইইউর ২৭ দেশে ১৩৩ কোটি কেজি পোশাক রফতানি করেছে বাংলাদেশ। চীন রফতানি করেছে ১৩১ কোটি কেজি পোশাক। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের রফতানি প্রবৃদ্ধিও চীনের দ্বিগুণ।

আগের বছরের চেয়ে গত বছর ইইউ জোটে বাংলাদেশের পোশাক রফতানির পরিমাণ বেড়েছে ২১ শতাংশ, যা ১২ শতাংশেরও কম চীনের।

ইইউ’র সরকারি পরিসংখ্যান সংস্থা ইউরোস্ট্যাটের সবশেষ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

পরিসংখ্যান বলছে, পোশাক রফতানিতে বাংলাদেশের প্রধান প্রতিযোগী ভিয়েতনামের অবস্থান পঞ্চম। ইইউতে মাত্র ১৫ কোটি কেজি পোশাক রফতানি করে দেশটি। জোটে রফতানির পরিমাণে তুরস্ক রয়েছে তৃতীয় অবস্থানে। গত বছর তুরস্কের ৪৭ কোটি কেজি পোশাক গেছে ইইউ-তে। পঞ্চম অবস্থানে থাকা ভারতের রফতানির পরিমাণ ২১ কোটি কেজি।

অবশ্য পরিমাণে চীনকে ছাড়িয়ে গেলেও অর্থমূল্যে বাংলাদেশের অবস্থান এখনো চীনের পেছনে রয়েছে।

পরিসংখ্যানের তথ্যমতে, ইইউ’র দেশগুলোতে গত বছর ৩ হাজার ১৫ কোটি ডলারের পোশাক রফতানি করেছে চীন। বাংলাদেশ রফতানি করেছে ২ হাজার ২৮৯ কোটি ডলারের। তবে এ ক্ষেত্রে চীনের চেয়ে পিছিয়ে থাকলেও প্রবৃদ্ধির হিসাবে দ্বিগুণ এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। গত বছর অর্থমূল্যে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ছিল প্রায় ৩৬ শতাংশ, যেখানে চীনের এ হার ১৭ শতাংশ।  ইইউ-তে রফতানিতে সব দেশের মধ্যে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধিই সবচেয়ে বেশি।

পরিমাণে বেশি রফতানি সত্ত্বেও অর্থমূল্যে চীনের চেয়ে বাংলাদেশ পিছিয়ে থাকার কারণ সম্পর্কে  টিম গ্রুপের  ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল্লাহ হিল রাকিক সংবাদমাধ্যমে বলেন, চীনের পোশাক খাতের ভিত্তি এখনো অনেক মজবুত। চীনের বিভিন্ন টেকনিক্যাল এবং ফাংশনাল পোশাক বেশি।

তিনি বলেন, অন্যদিকে বাংলাদেশ এখনো মৌলিক মানের পোশাকই বেশি করে থাকে। এ কারণে পরিমাণে বেশি রফতানি করেও মূল্য বিবেচনায় পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। চীনের অবস্থানে যেতে বাংলাদেশের আরো অনেক সময় প্রয়োজন হবে। অবশ্য বেশ কয়েকজন উদ্যোক্তা উচ্চ মূল্যের টেকনিক্যাল পোশাক উৎপাদনে বিনিয়োগ করেছেন। এসব পোশাকের মূল্য অনেক বেশি। গড়ে ৯০ থেকে ১০০ ডলার দামে এসব পোশাক রফতানি করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, এ ধরনের উচ্চ মূল্যের পোশাক উৎপাদন এবং রফতানি বাড়ছে বলেই দর বেশি পাওয়া যাচ্ছে। সংকটের মধ্যেও রফতানি বাড়ছে। যা বাংলাদেশের জন্য ইতিবাচক।

ইউরোস্ট্যাটের  পরিসংখ্যান মতে, গত বছর ইইউ-তে বাংলাদেশের পোশাকের মূল্য বেড়েছে প্রায় ১২ শতাংশ। চীনের পোশাকের মূল্য বেড়েছে ৫ শতাংশের কিছু কম। ভিয়েতনামের পোশাকের দর বেড়েছে ৩ শতাংশের মতো। গত বছর ইইউভুক্ত দেশগুলোতে ৩ শতাংশ হারে পোশাকের দাম বেড়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *