আল-কায়েদা নেতা আয়মান আল-জাওয়াহিরি নিহত

আন্তর্জাতিক স্লাইড

আগস্ট ২, ২০২২ ৯:৫৭ পূর্বাহ্ণ

আল-কায়েদার শীর্ষ নেতা আয়মান আল-জাওয়াহিরি আফগানিস্তানে সিআইএ-এর ড্রোন হামলায় নিহত হয়েছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ তথ্য জানিয়েছেন।

আল-কায়েদার প্রতিষ্ঠাতা ওসামা বিন লাদেন ২০১১ সালের ২ মে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে মার্কিন কমান্ডো হামলায় নিহত হওয়ার পর আন্তর্জাতিক এ সন্ত্রাসী সংগঠনের জন্য এটাই সবচেয়ে বড় আঘাত।

বেসামরিক বিমান ছিনতাই করে ২০০১ সালে নিউ ইয়র্কের বিশ্ব বাণিজ্য কেন্দ্র (টুইন টাওয়ার), পেন্টাগন আর পেনসিলভানিয়ায় আত্মঘাতী হামলা চালিয়ে ৩ হাজারের বেশি মানুষকে হত্যার ঘটনার অন্যতম পরিকল্পনাকারী হিসেবে বিবেচনা করা হয় মিশরীয় চিকিৎসক জাওয়াহিরিকে। যিনি সে সময় ছিলেন ওসামা বিন লাদেনের শীর্ষ উপদেষ্টা।

মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রোববার ভোর ৮টা ১৮ মিনিটে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে জাওয়াহিরির আস্তানায় সিআইএ ওই হামলা চালায়।

হোয়াইট হাউজের এক বিবৃতিতে প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেছেন, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ওই সন্ত্রাসী নেতা আর জীবিত নেই। আমরা কখনো হারিনি।

বাইডেন প্রশাসনের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেছেন, কাবুলে সিআইএ-এর হামলায় যিনি নিহত হয়েছেন, তিনি জাওয়াহিরি বলেই গোয়েন্দা তথ্য থেকে তারা নিশ্চিত হয়েছেন।

ওই কর্মকর্তা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সকল নাগরিক, মার্কিন স্বার্থ আর জাতীয় নিরাপত্তার জন্য জাওয়াহিরি ছিলেন হুমকি। তার মৃত্যু আল-কায়েদার জন্য একটি বড় ধাক্কা। এর ফলে এ সংগঠনের টিকে থাকার সক্ষমতা অনেকটা কমে যাবে।

বিগত বছরগুলোতে বহুবার জাওয়াহিরির মৃত্যুর গুজব বেরিয়েছে, তার স্বাস্থ্য পরিস্থিতি নিয়েও বিভিন্ন সময়ে নানা খবর এসেছে। এখন কাবুলে তার মৃত্যুর খবরে প্রশ্ন উঠছে, ২০২১ সালে আফগানিস্তানের ক্ষমতায় ফেরা তালেবানই জাওয়াহিরিকে সেখানে আশ্রয় দিয়েছিল কি না। যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মিত্ররা আফগানিস্তান থেকে তাদের বাহিনী প্রত্যাহার করে নিলে দুই দশক পর কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেয় তালেবান।

তালেবান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ এক বিবৃতিতে কাবুলে একটি হামলার ঘটনার কথা স্বীকার করে এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তার ভাষায়, এটা আন্তর্জাতিক নিয়মের লঙ্ঘন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *