আরও চার জাহাজে হুথির হামলা

আরও চার জাহাজে হুথির হামলা

আন্তর্জাতিক

জুলাই ১, ২০২৪ ৯:২০ পূর্বাহ্ণ

লোহিত ও ভূমধ্যসাগরে চারটি বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা চালিয়েছে ইয়েমেন সশস্ত্র গোষ্ঠী হুথি। লোহিত সাগরে একটি লাইবেরিয়ান পতাকাবাহী জাহাজে হামলার দায় স্বীকার করেছে গোষ্ঠীটি। শনিবার টাইমস অফ ইসরাইলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এক টেলিভিশন বিবৃতিতে হুথি সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি এ দায় স্বীকার করেছেন।

একটি সামুদ্রিক সংস্থা বলেছে, জাহাজটিকে লক্ষ্য করে পাঁচটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছিল হুথিরা। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, এছাড়া ভূমধ্যসাগরে দুটি জাহাজসহ আরও তিনটি জাহাজকে লক্ষ্যবস্তু করেছে হুথিরা।

গোষ্ঠীটি বলেছে, ইসরাইল ও ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের মধ্যকার যুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে বাণিজ্যিক জাহাজকে লক্ষ্যবস্তু করছে তারা। ইয়াহিয়া সারি বলেছেন, গোষ্ঠীটি তেলবাহী ট্যাংকার ডেলোনিক্সে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে এবং সেটি ‘সরাসরি আঘাত’ করেছে।

ইউনাইটেড কিংডম মেরিটাইম ট্রেড অপারেশনস (ইউকেএমটিও) এর আগে বলেছিল, জাহাজটিকে ইয়েমেনি বন্দর হোদেইদাহ থেকে ১৫০ নটিক্যাল মাইল (১৭২ মাইল) উত্তর-পশ্চিমে লক্ষ্যবস্তু করা হয়। তবে জাহাজটিতে কোনো ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। সেটি উত্তর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এদিকে সারি আরও বলেছেন, লোহিত সাগরে আইওনিস জাহাজের পাশাপাশি ওয়ালের তেলবাহী ট্যাংকার এবং ভূমধ্যসাগরে জোহানেস মার্স্ক জাহাজেও হামলা চালিয়েছে হুথিরা।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যের অঞ্চলিক শক্তি ইরানের সমর্থন পেয়ে আসা হুথিরা জানিয়েছে, তারা ইসরাইল ও ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের মধ্যে যুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করেছে। তাই তারা ইসরাইলের মালিকানাধীন বা দেশটির সঙ্গে সম্পর্কিত অথবা দেশটিকে সমর্থন দেওয়া পশ্চিমা দেশগুলোর জাহাজে হামলা চালাচ্ছে।

গত বছরের নভেম্বর থেকে লোহিত সাগর ও সংলগ্ন জলপথে বাণিজ্যিক জাহাজগুলোতে হুথিরা হামলা শুরু করার পর থেকে আন্তর্জাতিক জাহাজ চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। অনেক জাহাজই সুয়েজ খাল-লোহিত সাগর জলপথ এড়িয়ে আফ্রিকা মহাদেশ ঘুরে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে গন্তব্যে যাচ্ছে। এতে সময় ও খরচ উভয়ই বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই অঞ্চলে হুথিদের হামলার কারণে গত নভেম্বর থেকে আন্তর্জাতিক জাহাজ চলাচল ব্যাহত হয়েছে। অনেক জাহাজ লোহিত সাগরে হয়ে সুয়েজ খালের দিকে না গিয়ে আফ্রিকার দক্ষিণ প্রান্ত দিয়ে দীর্ঘ পথ ঘুরতে বাধ্য হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *