অফিসে মানসিক চাপ কমাতে যা করবেন

লাইফস্টাইল

অক্টোবর ১৮, ২০২৩ ২:৫৬ অপরাহ্ণ

অফিসে মানসিক চাপ কমাতে যা করবেন

বর্তমান গতিশীল বিশ্বে কর্মক্ষেত্রে চাপ খুবই পরিচিত সমস্যার একটি।কাজের চাপে দিশাহারা হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা হলে সতর্ক হওয়া দরকার। মানসিক সুস্থতা এবং সামগ্রিক উৎপাদনশীলতার জন্য এগুলো বুঝতে পারা এবং পরিচালনা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সমীক্ষা অনুযায়ী, কর্মক্ষেত্রে অধিক চাপ থাকার কারণে প্রতি বছর কমপক্ষে এক ট্রিলিয়ন উৎপাদনশীলতা হারায়।গবেষকরা পরামর্শ দেন যে, কেউ যদি কর্মক্ষেত্রে চাপ এবং উদ্বেগের সঙ্গে লড়াই করেন তাহলে এই পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মাথায় রাখতে হবে-

চাপ এড়িয়ে যাবেন না

সমস্যা সমাধানের প্রথম ধাপ হলো সমস্যাকে সমাধান দেওয়া। অফিসে আপনি অতিরিক্ত চাপ বোধ করতেই পারেন। এই অনুভূতিগুলো অস্বীকার করার অভ্যাস থাকলে তা বাদ দিন। কারণ এড়িয়ে গেলে তা সমস্যাগুলো আরও তীব্র করে তুলতে পারে। তাই চাপ অনুভব করলে তা স্বাভাবিকভাবেই গ্রহণ করুন। এটিই সমস্যা মোকাবিলার প্রথম পদক্ষেপ।

ভারসাম্য রাখুন

কাজ এবং ব্যক্তিগত সময়ের মধ্যে স্পষ্ট সীমারেখা থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই ভারসাম্য মানসিকভাবে আপনাতে সতেজ রাখবে। কাজের সময় নির্ধারণ করা, নিয়মিত বিরতি নেওয়া, নিজের মতো করে সময় কাটানোর মতো অভ্যাস রাখুন। এতে অফিসে কাজের কারণে চাপের পরিমাণ অনেকটাই কমে আসবে।

সরাসরি কথা বলুন

সবচেয়ে বড় চাপের একটি হলো কারও সঙ্গে সংযোগ না থাকা। কোনোকিছু নিয়ে অতিরিক্ত চাপ অনুভব করলে সহকর্মী বা উর্ধ্বতনদের সাথে সরাসরি কথা বলুন। তারা কাজের চাপ পরিচালনা করতে সাহায্য করবেন। তাদের কাছ থেকে নতুন দৃষ্টিকোণ, সমাধান বা সংস্থানের কার্যকরী পরামর্শ পেতে পারেন। মনে রাখবেন, সাহায্য চাওয়া দুর্বলতার লক্ষণ নয়; এটি মানসিক সুস্থতার দিকে একটি সক্রিয় পদক্ষেপ।

মেডিটেশন

গ্রাউন্ডিং ব্যায়াম, গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের কৌশল এবং মেডিটেশন অন-দ্য-স্পট এর মতো হালকা ব্যায়াম বেছে নিতে পারেন। এতে আপনার চাপ ও উদ্বেগ কমে গিয়ে প্রশান্তি ফিরে আসবে। কয়েক মিনিট গভীল শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করলে আপনার নিজেকে অনেকটাই হালকা মনে হবে।

প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন

একটানা যদি চাপ অনুভব করেন, তাহলে তা সমাধানের জন্য একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে পারেন। এভাবে চাপ অনুভব করা কোনো দুর্বলতা নয়। প্রত্যেকেই কর্মজীবনের কোনো না কোনো সময়ে চাপের সম্মুখীন হয় যা তাদের মানসিক সুস্থতাকে বিঘ্নিত করতে পারে। এক্ষেত্রে দক্ষ বা বিশেষজ্ঞ কারও পরামর্শ নিন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *