এপ্রিল ২৮, ২০২২ ৮:৪৪ পূর্বাহ্ণ
চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে হজ ফ্লাইট শুরুর সম্ভাব্য তারিখ আগামী ৩১ মে ধরা হয়েছে। একই সঙ্গে হজযাত্রীদের বিমান ভাড়া এক লাখ ৪০ হাজার টাকা নির্ধারণ হয়েছে।
বুধবার সচিবালয়ে হজ ব্যবস্থাপনা নিয়ে সভা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৯ জুলাই সৌদি আরবে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে। চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে ৫৭ হাজার ৮৫৬ জন হজে যেতে পারবেন বলে ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে। করোনা মহামারিতে সৌদি আরবের নিষেধাজ্ঞার কারণে গত দুই বছর বাংলাদেশ থেকে কেউ হজে যেতে পারেননি।
বিমান প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত দুই বছর আমরা হজ করতে পারিনি। এ বছর খুলেছে, আমরা আশার আলো দেখতে পাচ্ছি। হজযাত্রীরা যাতে নির্বিঘ্নে যেতে পারেন, সেজন্য আমরা বসে কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছি। অত্যন্ত দ্রুততম সময়ের মধ্যে আমাদের কাজগুলো করতে হবে।
তিনি বলেন, ৩১ মে প্রথম হজ ফ্লাইট হবে সেই ধারণা নিয়ে আলোচনায় বসেছি। এর মধ্যে যাতে সব কাজ সম্পন্ন করতে পারি, এ ব্যাপারে সবাই আলোচনা করে ঐক্যবদ্ধভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এবার দুটি বড় ৭৭৭ বিমানের ডেডিকেটেড ফ্লাইটের মাধ্যমে হজযাত্রীদের নেবো। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ৭৫টি ফ্লাইট অপারেশন করতে পারবে। বিমান বাংলাদেশের মাধ্যমে ৩১ হাজার হজযাত্রী পরিবহন করতে হবে। বাকি যাত্রী সৌদি এয়ারলাইন্স বহন করবে।
বিমান প্রতিমন্ত্রী বলেন, কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছি। বিশেষ করে বাংলাদেশেই হজযাত্রীদের ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করা। সৌদি কর্তৃপক্ষের কাছে আমরা ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই, তারা আমাদের সহযোগিতা করেছে। এখানে ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করতে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছেন। অনেক বড় একটা প্রতিনিধি দল এসেছিল, তারাও নিজেরা দেখেছেন। তাদের সহযোগিতা আরো বাড়াবেন। এ বছর যাতে রোড টু মক্কা ফুল অপারেশনে যেতে পারি, সেজন্য তারা তাদের সহযোগিতার হাত সম্প্রসারিত করবেন।
ভাড়া কত নির্ধারিত হয়েছে জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আপনারা জানেন জ্বালানি খরচ প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। সেক্ষেত্রে সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে দেখা গেছে ভাড়া দেড় লাখ টাকা আসে। কিন্তু হজযাত্রীদের কল্যাণের কথা চিন্তা করে, যাতে ভাড়াটা তাদের জন্য বহনযোগ্য ও গ্রহণযোগ্য হয়, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি বিমান ভাড়া হবে এক লাখ ৪০ হাজার টাকা। সৌদি এয়ারলাইন্সের ক্ষেত্রে এ ভাড়া থাকবে।
২০১৯ সালে বিমান ভাড়া এক লাখ ২৮ হাজার টাকা ছিল বলেও জানান মাহবুব আলী।