জাহিদুল হক আজিম, সিরাজগঞ্জ
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় পাথার প্রান্তরের মাঠগুলোয় ভরা বর্ষাকালেও নেই পানির দেখা। চলছে না নৌকা। নেই মাছ।
উল্লাপাড়া উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের ‘পাথার প্রান্তর’ বলে পরিচিত আবাদি মাঠগুলো স্বাভাবিক বন্যাতেই তলিয়ে যায়। এই ইউনিয়ন তিনটি হলো – মোহনপুর, বড়পাঙ্গাসী ও উধুনিয়া।
বৃষ্টির মৌসুমে মাঠগুলোতে প্রায় চার মাস পানি থাকে। সে সময় এলাকার যাত্রী ও মালামালবাহী নৌযান চলাচল করে এই পথে। এছাড়া মাছ ধরার ডিঙ্গি ও বড় নৌকাও দেখা যায়।
পানি রয়েছে শুধু এলাকার নদী ও খালগুলোয়। কিন্তুু পাথারের প্রান্তর শুকনো। অনেক মাঠে কৃষক গরু চড়াচ্ছেন। নৌকা মেরামত করে আলকাতরা দিয়ে মাঠে, খাল পাড়ে শুকনো জায়গায় রাখা আছে।
উধুনিয়া গ্রামের লোকজন বলেন, বিগত বেশ কয়েক বছরে দেখা গেছে বর্ষাকাল শুরু হতে না হতেই বানের পানিতে তিনটি ইউনিয়নের পাথার প্রান্তরের মাঠগুলো তলিয়ে যেত। কিন্তু এবার তেমনটা দেখা যাচ্ছে না।
তাদের কথানুসারে, এবার বাঘাবাড়ী এলাকা হয়ে পাথার প্রান্তরের মাঠগুলোয় বানের পানি ঢুকতে পারেনি। এদিকে পূর্ব এলাকা থেকে বানের পানির তেমন চাপ নেই। তাই এমন অবস্থা হয়েছে। তবে কম সময়ের মধ্যে পাথার প্রান্তরের মাঠগুলোয় বানের পানি উঠবে বলে আশা করছেন তারা।
এদিকে এবার বর্ষাকালে পাথার প্রান্তরের মাঠগুলোয় পানি না থাকায় অন্য রূপ দেখা গেছে। পতিত মাঠগুলো সবুজ ঘাস ও আগাছায় ভরে আছে।
বর্ষাকালে ভাড়ায় নিজ নৌকা খাটানো মাঝি বলেন, নৌকা খাটিয়ে দিনে ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকা আয় হয়ে হয় এই মৌসুমে। নৌকা নিয়ে বানের পানি আসার অপেক্ষায় দিন পার করছেন। তিনি বলেন, বানের পানি মাঠে উঠলে নৌকাগুলো ভাসানো হবে। এমন অবস্থা এই এলাকার আরো অনেকেরই। সবাই অপেক্ষায় আছেন বর্ষা মৌসুমের বানের পানি আসার।