দেশে প্রথমবারের মতো ‘বঙ্গবন্ধু মেডেল ফর ডিপ্লোমেটিক এক্সিলেন্স এওয়ার্ড ২০২০’ জাতীয় পুরষ্কার অর্জন করেছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিট) ও শ্রীবরদী-ঝিনাইগাতী কল্যাণ সমিতি ঢাকা’র সভাপতি রিয়ার এডমিরাল মোঃ খুরশেদ আলম (অব.)। সে উপলক্ষে ০৮ এপ্রিল, শুক্রবার বিকাল ৩.৩০ টায় ঢাকার ২২, মানিক মিয়া এভিনিউ, সেচ ভবনের বিএডিসি অডিটোরিয়ামে সমিতির পক্ষ থেকে সংবর্ধনা, সমিতির নব নির্বাচিত কার্যনির্বাহী ও উপদেষ্টা কমিটির অভিষেক, ইফতার ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য সচিব ও বৃহত্তর ময়মনসিংহ সমিতি ঢাকা’র সভাপতি মোঃ আবুল কালাম আজাদ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব ও ঢাকাস্থ শেরপুর জেলা সমিতির সভাপতি মোঃ নজরুল ইসলাম, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব ও এসডিএফ এর চেয়ারম্যান মোঃ আবদুস সামাদ।
অতিরিক্ত সচিব ও আহŸায়ক অনুষ্ঠান বাস্তবায়ন উপ কমিটি এবং সমিতির সহ সভাপতি মোঃ বিল্লাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন অনুষ্ঠান বাস্তবায়ন উপ কমিটির সদস্য সচিব ও সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ. কে. এম. রফিকুল ইসলাম রফিক।
অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন যুগ্ম সচিব ও বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কতৃপক্ষের পরিচালক এবং সমিতির সহ- সভাপতি এ. এন. এম শফিকুল ইসলাম। সংবর্ধিত অতিথির কৃতিত্ব বিষয়ক উপস্থাপনা করেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মির্জা আজম এমপির একান্ত সচিব ও সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. মোঃ আশরাফ আলী।
এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মোঃ শহিদুল্লাহ, সমিতির সাবেক সহ-সভাপতি মোঃ ফিরোজ খান নুন, সহ-সভাপতি ডা. বেগম শামছুন নাহার শিরীন, মোঃ রেজাউল ইসলাম রেজু, সাপ্তাহিক শীর্ষ খবর পত্রিকার সম্পাদক ও সমিতির আইন সম্পাদক অ্যাডভোকেট মনিরুজ্জামান (শাশ^ত মনির), সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মোঃ ইলিয়াস হোসেন লিটন, এ.এইচ. এম ইকবাল হোসেন অন্তর, সাংগঠনিক সম্পাদক রাশেদুজ্জামান রাশেদ, মোঃ মিজানুর রহমান মিলন, কোষাধ্যক্ষ এবিএম রশিদুজ্জামান রিপন, মানবাধিকার সম্পাদক মোঃ শফিকুল ইসলাম সুমন,কার্যনির্বাহী সদস্য ও কেয়ার এডুকেশন স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক আবু বকর সিদ্দীক,সহ প্রমুখ ব্যক্তি।
প্রধান অতিথির ভাষণে আবুল কালাম আজাদ বলেন, রিয়ার এডমিরাল মোঃ খুরশেদ আলম (অব.) শুধুমাত্র শ্রীবরদী, ঝিনাইগাতী, শেরপুর, জামালপুর কিংবা বৃহত্তর ময়মনসিংহের নয় বরং সারা দেশের গর্বের ধন। কারণ ভারত এবং মায়ানমারের সাথে বাংলাদেশের সমুদ্র জয়ের নেপথ্যে তার অবদানই সর্বাধিক। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক আদালতে বিভিন্ন যুক্তি উত্থাপন তার জ্ঞান এবং দক্ষতার কারণেই সম্ভব হয়েছে। যে কারণে তিনি ‘বঙ্গবন্ধু মেডেল ফর ডিপ্লোমেটিক এক্সিলেন্স এওয়ার্ড ২০২০’ জাতীয় পুরষ্কার অর্জন করেছেন।
বিশেষ অতিথির ভাষণে আবদুস সামাদ বলেন, শিক্ষার মৌলিক উন্নয়নে আমাদের সবাইকে এক যোগে কাজ করতে হবে। আমাদের শেরপুর জেলার শিক্ষার গুনগত মান আশানুরূপ নয়।
বিশেষ অতিথির ভাষণে নজরুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের আমলে উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ। সেই বাংলাদেশের আরেকটি কৃতিত্বের জায়গা হলো আমাদের সমুদ্র বিজয়। আমাদের আন্তর্জাতিক বিরোধের সমাধান হযেছে এবং এ জয় বিশ্বব্যাপী সমাদৃত হয়েছে। সেই সাথে আমাদের গৌরবের একটি জায়গা তৈরী হয়েছে। এই বিজয় নিয়ে যদি ইতিহাস লিখিত হয়; সেই ইতিহাসের একটি উল্লেখ যোগ্য অংশে থাকবেন আমাদের আজকের আয়োজনের সংবর্ধিত ব্যক্তিত্ব রিয়ার এডমিরাল মোঃ খুরশেদ আলম (অব.)।
সংবর্ধিত অতিথি রিয়ার এডমিরাল মোঃ খুরশেদ আলম (অব.) বলেন, আজ আমি খুবই আনন্দিত। আমি সংবর্ধনা পাওয়ার জন্য নয়; আমি আমার ব্যক্তিত্ব, নৈতিকতা ও দেশপ্রেম থেকেই সমুদ্র জয়ের জন্য কাজ করেছি এবং সফলও হয়েছি।