রুশ সেনারা যুদ্ধের দুই মাস পরেও ইউক্রেনে সীমিত সাফল্য অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
ক্রেমলিনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সেনাবাহিনীকে কৃতিত্ব দিয়েছে ইউক্রেনীয়রা।
এদিকে ইউক্রেনের নাগরিকরাও কিয়েভে রাশিয়ার আগ্রাসন ঠেকাতে ভূমিকা পালন করেছে। এছাড়া মস্কোর উপর ‘কৌশলগত বিজয়’ অর্জনের মরিয়া প্রচেষ্টার মধ্যে রয়েছে কিয়েভের দিকে যাওয়া ছোট ছোট গ্রামগুলোর ইচ্ছাকৃত ‘বন্যা’।
কিয়েভের উত্তরে একটি গ্রাম ডেমিডিভের বাসিন্দারা গর্ব করে বলেছে, ‘কৌশলগত সুবিধা তাদের কষ্টকে ছাড়িয়ে গেছে।’
যদিও বন্যা এসব গ্রামে সর্বনাশ করেছিল তবে ডেমিডিভের বাসিন্দাদের পদক্ষেপ কিয়েভের উপর রাশিয়ান ট্যাঙ্ক আক্রমণকে ব্যর্থ করেছে বলে জানায় গ্রামবাসী।
গত মার্চ মাসে যুদ্ধে বন্যা একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। কারণ ইউক্রেনীয় বাহিনী কিয়েভকে ঘিরে ফেলার রাশিয়ান প্রচেষ্টাকে প্রতিহত করেছিল এবং অবশেষে রাশিয়ানরা পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে।
রাশিয়ার সামরিক অভিযানে রকেট ও বোমা হামলার আঘাতে ধ্বংসযজ্ঞে পরিণত হচ্ছে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ।
সরকারি প্রশাসনিক ভবন থেকে শুরু করে বাদ যাচ্ছে না আবাসিক এলাকার ভবনও। রাজধানী কিয়েভ থেকে আরও জানাচ্ছেন সোয়েব কবীর।
সামরিক অভিযান শুরুর প্রথম দিকে ইউক্রেনের আকাশ রাশিয়ার দখলে থাকলেও শক্তিশালী প্রতিরক্ষাব্যবস্থার কারণে তেমন সুবিধা করতে পারেনি রুশ সেনারা।
শুরুতেই কিয়েভ অভিমুখী রাশিয়ার যে লম্বা গাড়িবহর স্যাটেলাইট ছবিতে দেখা গিয়েছিল সেটাও কিয়েভ ঘিরে ফেলতে ব্যর্থ হয়েছে। রাজধানী শহর পুরোপুরি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখেছে ইউক্রেনীয় সেনারা। সাঁজোয়া যান তো দূরে থাক, কোনো গুপ্তচর কিংবা অনুপ্রবেশকারীর পক্ষে শহরে প্রবেশ করা বেশ কঠিন। তাই বাধ্য হয়েই কৃষ্ঞ সাগর ও পূর্বদিকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়া এলাকাগুলো থেকে রকেট ও বোমা হামলা অব্যাহত রেখেছে রাশিয়া।