রোববার থেকে পবিত্র মাহে রমজান শুরু হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। ইবাদত ও বন্দেগির মাধ্যমে মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভ এবং তাঁর দরবারে কান্নাকাটির মাধ্যমে পাপ মোচনের মাস পবিত্র রমজান। রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর হুঁশিয়ারি হলো যে ব্যক্তি রমজান পেল; কিন্তু পাপ মোচন করতে পারল না, তার ধ্বংস অনিবার্য। তাই পূর্ববর্তী আলেম ও আল্লাহপ্রেমী বান্দারা রমজানের আগ থেকেই মহিমান্বিত এই মাসের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করতেন।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, নিশ্চয়ই আল্লাহর কোনো বান্দা যে কোনো ভালো কাজ বা আমল যদি যথাযথভাবে উত্তম উপায়ে করে; তবে সে আমল বা কাজ আল্লাহ তাআলা পছন্দনীয় হিসেবে গ্রহণ করেন। (তাবারানি হাদিস)
জুমার দিনের আমল ও ফজিলত
আল্লাহর রহমত ও নেয়ামতে ভরপুরের দিন জুমা। দিনটির প্রতিটি পরতে পরতে; ক্ষণে ক্ষণে সাজিয়ে রেখেছেন রহমত-বরকত-মাগফেরাত-নাজাত।
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেছেন নবিজী (সা.) বলেছেন, দুনিয়াতে যত দিন সূর্য উঠে; তার মধ্যে শ্রেষ্ঠ দিন হলো (জুমার দিন) শুক্রবার। এ দিনে আদম আলাইহিস সালামকে সৃষ্টি করা হয়েছে এবং তাকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয়েছে। এ দিনেই তাকে জান্নাত থেকে বের করা হয়েছিল। সর্বশেষ কেয়ামত সংঘটিত হবে শুক্রবারের এই পবিত্র ও মর্যাদার দিনে। (সহিহ মুসলিম)
হজরত আবু উমামা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পড়বে, ওই ব্যক্তির জন্য জান্নাতে প্রবেশ করা মৃত্যু ছাড়া আর কোনো কিছু বাধা হবে না। (সহিহ বুখারি)
আল্লাহ তাআলা আমাদের সকলকে রমজানের আগে শেষ জুমার দিন আয়াতুল কুরসি যথাযথভাবে আমল করার মাধ্যমে হাদিসে ঘোষিত ফজিলত লাভ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।