এপ্রিল ২৩, ২০২২ ৯:৩৩ পূর্বাহ্ণ
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন সম্প্রতি বলেছেন, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে রাশিয়া এখনো জিততে পারে এবং এটি একটি বাস্তবিক সম্ভাবনা। তার এমন মন্তব্যের পর, যুদ্ধে ইউক্রেন খুব শিগগিরই বিজয়ী হবে বলে দাবি করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী ডেনিস সিমিহল।
বরিস জনসনের মন্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে ইউক্রেনীয় প্রধানমন্ত্রী মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে বলেন, ‘আমরা পুরোপুরি নিশ্চিত যে এই যুদ্ধে ইউক্রেন জিতবে এবং সেই জয় খুব অল্প সময়ের মধ্যেই আসবে।’ খবর বিবিসির।
এদিকে ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের প্রেক্ষিতে এবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) মস্কো যাচ্ছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। এ খবর জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
শুক্রবার (২২ এপ্রিল) যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে এক সংবাদ সম্মেলনে গুতেরেসের সহযোগী মুখপাত্র এরি কানেকো জানান, পুতিন ছাড়াও রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের সঙ্গেও বৈঠক করবেন জাতিসংঘ মহাসচিব। ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে করণীয় নিয়ে পুতিনের সঙ্গে আলোচনা করার আশা করছেন গুতেরেস।
এর আগে, গত মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) ভ্লাদিমির পুতিন ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে তাদের নিজ নিজ দেশের রাজধানীতে বৈঠকে বসার প্রস্তাব দেন অ্যান্তোনিও গুতেরেস। বুধবার (২০ এপ্রিল) এ তথ্য জানান জাতিসংঘের একজন মুখপাত্র।
ইউক্রেনের পুরো দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল দখলে নিতে চায় রাশিয়া। শুক্রবার (২২ এপ্রিল) দেশটির একজন শীর্ষ জেনারেল এমন দাবি করেছেন। এর মধ্য দিয়ে তিনি আভাস দিয়েছেন, যুদ্ধের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে নেওয়া ইউক্রেনের ভূখণ্ডগুলোতে স্থায়ীভাবে দখল প্রতিষ্ঠা করতে চায় মস্কো।
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে সামরিক অভিযান বন্ধ করে সম্প্রতি সেখান থেকে পিছু হটেছে রুশ প্রেসিডেন্টের বাহিনী। এরপর নতুন করে অভিযান শুরুর সময় যে লক্ষ্যের কথা তারা জানিয়েছিল, সেখান থেকে আরও সুদূরপ্রসারী ভাবনা নিয়ে রাশিয়া এই যুদ্ধে নেমেছে বলে স্বীকার করেছেন রাশিয়ার সেন্ট্রাল মিলিটারি ডিস্ট্রিক্টের উপকমান্ডার রুসতাম মিনিকায়েভ।
তিনি বলেন, পুরো পূর্বাঞ্চলীয় দোনবাস অঞ্চল দখল করতে চায় রাশিয়া। এরপর ক্রিমিয়া উপদ্বীপের সঙ্গে সংযোগ তৈরি করে একটি সেতু নির্মাণ করা হবে। শুধু তা-ই নয়, রাশিয়ার অধিকৃত মলদোভা, দক্ষিণাঞ্চলীয় পুরো বিদ্রোহী অঞ্চলকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে চায় মস্কো।
এর অর্থ দাঁড়াবে, ইউক্রেনের দুই বড় শহর মিকোলাইভ ও ওডিসাকে ছাড়িয়ে রুশ বাহিনী আরও কয়েকশ মাইল ভেতরে প্রবেশ করতে চায়। এসব অঞ্চলকে তারা স্থায়ীভাবে রাশিয়ার আয়ত্তে নিয়ে যাবে বলে আভাস দেওয়া হয়েছে।