যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের মারিউপোলে বোমা হামলাসহ সামরিক অভিযান আরও জোরদার করেছে রাশিয়া।
খারকিভের আশ্রয়কেন্দ্রেও রুশ সেনারা রাতভর গোলাবর্ষণ করেছে বলে দাবি ইউক্রেনের। ইউক্রেনের ১০ লাখ নাগরিককে অস্ত্র সরবরাহের ঘোষণা দিয়েছে জেলেনস্কি সরকার।
শুক্রবার (১৩ মে) রুশ সেনাদের মুহুর্মুহু বোমা হামলায় কেঁপে ওঠে মারিউপোলের আজভস্তাল ইস্পাত কারখানা। শহরটির বেশিরভাগ অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ রুশ সেনাদের হাতে। আজভস্তালে অসংখ্য ইউক্রেনীয় সেনা আটকে পড়েছে বলে স্বীকার করেছেন ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী। আর প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি জানান, গুরুতর আহত সেনাদের সেখান থেকে সরিয়ে নিতে সমঝোতার জন্য মস্কোর সঙ্গে আলোচনার চেষ্টা চলছে।
বোমা ও গোলাবর্ষণ করা হয় আরেক যুদ্ধবিধ্বস্ত শহর খারকিভে। রাতভর রুশ হামলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে বিভিন্ন ভবন ও স্থাপনা। স্থানীয় মেয়রের দাবি, রুশ সেনাদের হামলা থেকে আশ্রয়কেন্দ্রও রক্ষা পায়নি। তবে এরই মধ্যে খারকিভের অনেক গ্রাম থেকে সেনাদের হটিয়ে পুনরায় নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার দাবি করেছে ইউক্রেনের সেনারা।
দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধের প্রস্তুতি হিসেবে ১০ লাখ ইউক্রেনীয়কে অস্ত্র সরবরাহের আশা করছেন ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী। পশ্চিমাদের দেয়া সামরিক সহায়তা এরই মধ্যে কিয়েভে পৌঁছেছে। আর এগুলো রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে সমতা প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হবে বলেও আশা তাদের।
দনবাস অঞ্চলে রুশ সেনাদের বহর হটিয়ে দেওয়ার দাবি করেছে ইউক্রেন। অঞ্চলটিতে নদী পার হওয়ার চেষ্টার সময় একটি পন্টুন সেতু এবং রুশ সেনাদের একটি সাঁজোয়াবহর ধ্বংসের দাবি করা হয়। রুশ সেনাদের এই নদী পার ঠেকিয়ে দেওয়ার একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে ইউক্রেন। ইউক্রেইন এখন খারকিভের পূর্বে সিভারস্কি ডনেট নদী তীরের প্রায় ৪০ কিলোমিটার বিস্তীর্ণ এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে বলে নিশ্চিত করে জানিয়েছে রয়টার্স।
এর মধ্যেই, যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে প্রথমবারের মতো এক রুশ সেনার বিচারকাজ শুরু করেছে ইউক্রেন। ৬২ বছর বয়সী এক বৃদ্ধকে হত্যার অভিযোগে ২১ বছর বয়সী রুশ ওই সেনাকে শুক্রবার কিয়েভের একটি আদালতে বিচারের মুখোমুখি করা হয়।