বিশ্বের সবচেয়ে বড় আফিম উৎপাদনকারী দেশ আফগানিস্তানে মাদক চাষ নিষিদ্ধ করেছে তালেবান সরকার।
রোববার (৩ এপ্রিল) এ ব্যাপারে তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদার আদেশ অনুসারে এক বিবৃতি জারি করা হয়।
কাবুলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ সম্মেলনে ঘোষিত বিবৃতিতে বলা হয়, ইসলামিক আমিরাত আফগানিস্তানের সর্বোচ্চ নেতার আদেশ অনুযায়ী আফগানদের জানানো যাচ্ছে, এখন থেকে সারা দেশে পপি চাষ কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, কেউ যদি এই আদেশ লঙ্ঘন করেন তাহলে তাৎক্ষণিকভাবে ফসল ধ্বংস এবং লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে শরিয়া আইনে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অন্যান্য মাদকদ্রব্যের উৎপাদন, ব্যবহার অথবা পরিবহনও নিষিদ্ধ করা হয়েছে বলে আদেশে জানানো হয়েছে। দুই দশকের যুদ্ধের অবসান ঘটিয়ে মার্কিন সৈন্যরা চলে যাওয়ার পর গত বছরের আগস্টে আফগানিস্তানের ক্ষমতায় আসে তালেবান। তারপর থেকে এই গোষ্ঠীর কাছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান দাবি ছিল মাদক নিয়ন্ত্রণ।
ব্যাংকিং ব্যবস্থা, ব্যবসা এবং উন্নয়ন ব্যাপক বাধাগ্রস্ত হওয়ায় দেশটির বিরুদ্ধে আরোপিত পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার চায় তালেবান। এর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের স্বীকৃতিও চেয়ে আসছে তারা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আফগানিস্তানে ২০০০ সালে তালেবানের আগের মেয়াদের শাসনের শেষ দিকে পপি চাষ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। কারণ সেই সময়ও শাসনের স্বীকৃতি চেয়েছিল তালেবান। পরে ব্যাপক সমালোচনার মুখে নিজেদের অবস্থান পরিবর্তন করে তালেবান।
২০১৭ সালের দিকে আফগানিস্তানে ১৮০ কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের আফিম উৎপাদন হতো বলে জাতিসংঘের এক পরিসংখ্যানে জানানো হয়। গত কয়েক মাসে দেশটিতে আফিমের উৎপাদন আরও বৃদ্ধি পেয়েছে বলে দেশটির কৃষক এবং তালেবানের সদস্যরা রয়টার্সকে জানিয়েছেন।
সূত্র: আল-জাজিরা