বর্তমান যুগে ব্যস্ত জীবনের সময়সূচি, মানসিক চাপ, স্মার্টফোন আসক্তির কারণে বেশিরভাগ সময়ই পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম হয় না। অথচ সুস্থ থাকার জন্য খাবার ও পানির সঙ্গে ঘুমটাই সবচেয়ে বেশি জরুরি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, অন্তত ৭ ঘণ্টার ঘুম সুস্থ রাখতে পারে শরীর। তবে বয়স অনুযায়ী পরিবর্তন হয় ঘুমের সময়। সারাদিন ভালোভাবে কাজ করার জন্য রাতে পর্যাপ্ত ঘুম খুবই জরুরি। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে বিভিন্ন রোগের শিকার হতে পারে শরীর।
চিকিৎসকদের মতে, দীর্ঘ সময় পর্যাপ্ত ঘুম না হলে ডায়াবেটিস, স্তন ক্যান্সার বা হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়তে পারে। ঘুমের অভাব প্রভাবিত করে শরীরের কোষকে এবং শরীরে খনিজ পদার্থের ভারসাম্য নষ্ট হয়, যা হাড়ের জন্য ক্ষতিকর।
বয়সের উপর নির্ভর করে কত ঘণ্টা ঘুমানো উচিত। বয়সের পাশাপাশি দিন ও রাতের ভিত্তিতে ভাগ করা যায় ঘুমের সময়। এই নিয়মে চললে ঘুম পরিপূর্ণ হয় এবং শরীরও সুস্থ থাকে।
একটি ৪-১২ মাস বয়সী শিশুর কমপক্ষে ঘুমানো উচিত ১২ থেকে ১৬ ঘণ্টা।
১-৫ বছরের বাচ্চাদের ঘুমানো উচিত কমপক্ষে ১১-১৪ ঘণ্টা।
৬-১২ বছর বয়সীদের ৯-১২ ঘণ্টা ঘুমানো উচিত।
১৩-১৮ বছর বয়সীদের ৮-১০ ঘণ্টা ঘুমানো উচিত।
১৮ বছর বয়সের পর থেকে অন্তত ৭ ঘণ্টা ঘুম এবং
৬০ বছর পর থেকে অন্তত ৮ ঘণ্টা ঘুম জরুরি।