তৈরি পোশাক শিল্পের মালিকদের সংগঠনের (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান সরকার জানিয়েছেন, পোশাক শিল্পের শতভাগ কারখানায় বেতন-ভাতা পরিশোধ করা হয়েছে।
শনিবার সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, শ্রমিক নেতৃবৃন্দ ও শ্রমিকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, সবার ঐকান্তিক সহযোগিতায় পোশাক শিল্পের শ্রমিক ভাই-বোনেরা পরিবার ও স্বজনদের নিয়ে আসন্ন ঈদুল ফিতর উদযাপন করতে যাচ্ছেন।
পোশাকখাতের উদোক্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, পূর্ববর্তী বছরের ধারাবাহিকতা রক্ষা করে শত সীমাবদ্ধতার মাঝে থেকেও আপনারা শ্রমিক ভাই-বোনদের যথাযথ পাওনা পরিশোধ করেছেন, এজন্য আপনাদের ধন্যবাদ জানাই।
ফারুক হাসান বলেন, শতভাগ কারখানায় উৎসব ভাতা প্রদান এবং সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এপ্রিলের অগ্রিম বেতন প্রদান করা হয়েছে। শতভাগ কারখানায় ঈদের ছুটি প্রদান করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং শ্রম প্রতিমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী ঈদ উপলক্ষে উদ্যোক্তারা এলাকাভিত্তিকভাবে ভিন্ন ভিন্ন তারিখে ও দিনে দু’বেলায় ছুটি দিচ্ছেন। গত বুধবার থেকে শ্রমিকরা ছুটিতে যাওয়া শুরু করেছেন। আজকের মধ্যেই সব শ্রমিক ভাই-বোন ঢাকা ছাড়বেন।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, প্রাপ্ত সংবাদ অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন তারিখে ও ভিন্ন ভিন্ন সময়ে ছুটি দেওয়ার কারণে এবার মহাসড়কগুলোতে যানবাহনের চাপ কম পড়েছে। মহাসড়কগুলোতে যানজট কমাতে এবং ঈদযাত্রা সহজ ও নিরাপদ করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করায়, বিশেষ করে জনস্বার্থ বিঘ্নিত না করে চলমান উন্নয়ন প্রকল্পগুলো সুচারুভাবে পরিচালনা করার জন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।
বিজিএমইএ’র অনুরোধের প্রেক্ষিতে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধের সুবিধার্থে ২৯ এপ্রিল ও ৩০ এপ্রিল ব্যাংকিং কার্যক্রম সীমিত পরিসরে চালু রাখার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে এবং পোশাক শিল্পের আমদানি-রফতানিসহ জরুরি কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে ২৯ এপ্রিল থেকে ৪ মে পর্যন্ত (ঈদের দিন ছাড়া) সরকারি ছুটির সময়ে সব কাস্টম হাউজ ও শুল্ক স্টেশনসমূহ খোলা রাখার জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ফারুক হাসান।
একই সঙ্গে রফতানির স্বার্থে রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর বস্ত্র বিভাগের সেবা সাপ্তাহিক ছুটির দিন (৩০ এপ্রিল) চালু রাখতে এবং আসন্ন ঈদুল ফিতরের ছুটিকালীন ও তৎপরবর্তী সময়ে চট্টগ্রাম বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম ২৪/৭ চালু রাখার জন্য চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন, গত দুই বছরের তুলনায় কোভিড পরিস্থিতি বর্তমানে অনেকটা স্বাভাবিক থাকায় এবছর অধিক সংখ্যক শ্রমিক ভাই-বোন পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করার জন্য গ্রামের বাড়ি যাচ্ছেন। আমরা প্রতিটি উদ্যোক্তা কামনা করছি, প্রতিটি শ্রমিক ভাই-বোন যাতে নিরাপদে বাড়ি ফিরে পরিবার-পরিজন নিয়ে হাসিমুখে ঈদ উদযাপন করতে পারেন।
বিজিএমইএ সভাপতি ঘরমুখো মানুষকে মাস্ক পরিধানসহ যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান।