এপ্রিল ১০, ২০২২ ৮:০৫ পূর্বাহ্ণ
অনাস্থা ভোটের আগেই পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ থেকে বেরিয়ে যান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) সাংসদরা। পরিষদে উপস্থিত ছিলেন না প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানও। এরপর অনাস্থা ভোটে ইমরানের বিরুদ্ধে ১৭৪টি ভোট পড়ে।
ইমরান সরকারের পতন হওয়ার পর প্রধান বিরোধী দলনেতা শাহবাজ শরিফকে অভিনন্দন জানান স্পিকারের আসনে থাকা আয়াজ সাদিক। স্পিকারের অনুরোধে বক্তব্য রাখেন তিনি।
দেশটির জাতীয় পরিষদে বিরোধীদলীয় জোটের প্রার্থী শাহবাজ শরিফ। তিনিই পাকিস্তানের সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী।
বক্তব্যের শুরুতেই সব নেতাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, আমি অতীতের তিক্ততায় ফিরে যেতে চাই না। আমরা তাদের ভুলে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই। আমরা অবিচার করব না। অকারণে মানুষকে কারাগারে পাঠাব না। আইন ও বিচার প্রক্রিয়া তার নিজস্ব গতিতে চলবে। কেউ সে ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করবে না।
শাহবাজের পুরো নাম পুরো নাম মিয়া মহম্মদ শাহবাজ শরিফ। অনাস্থা ভোটে ইমরানকে ক্ষমতাচ্যুতে প্রধানমন্ত্রিত্বের দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন তিনি।
কে এই শাহবাজ?
৭০ বছর বয়সী শাহবাজের জন্ম লাহোরে। তার রাজনৈতিক জীবন শুরু ১৯৯৭ সালে। সেসময় পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার মধ্য দিয়ে। ১৯৯৯ সালে এক সামরিক অভ্যুত্থানে কারারুদ্ধ ও ২০০০ সালে সৌদি আরবে নির্বাসিত হননি তিনি।
এরপর ২০০৭ সালে নিজ দেশে ফিরে আসেন তিনি। পরের বছর ২০০৮ সালের নির্বাচনে ফের পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন। তৃতীয় মেয়াদে ২০১৩ সালেও তিনি প্রদেশটির মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হন।
পাক রাজনীতিতে বিরোধী দলনেতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে প্রধানমন্ত্রী পদের দাবিদার শাহবাজ সাবেক প্রধানমন্ত্রী তথা মুসলিম লীগের নায়ক নওয়াজ শরিফের ভাই। ভাই নওয়াজ দেশ ছাড়ার পরে পাকিস্তান মুসলিম লীগের প্রেসিডেন্টের আসনে বসেন তিনি। তখন থেকেই ভাতিজি মরিয়াম শরিফকে নিয়ে দল চালাচ্ছেন।
২০১৮ সালের ১৩ আগস্ট তিনি জাতীয় পরিষদের সদস্য হন। আপাতত তাকেই পাকিস্তানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।