ভারতের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’। আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যে এটি আরও শক্তি সঞ্চয় করে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। এরই মধ্যে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গে সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১০ মে) নাগাদ ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’ বিশাখাপত্তমে আছড়ে পড়তে পারে। তবে বাংলাদেশে আঘাত হানার আশঙ্কা এখন পর্যন্ত নেই বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান।
ক্রমেই শক্তিশালী হচ্ছে ‘অশনি’। আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে এটি। দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করা ঘূর্ণিঝড়টি উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
মঙ্গলবার (১০ মে) ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ ও ওড়িশা উপকূলে এটি আঘাতের আশঙ্কা থাকলেও এর দিক পরিবর্তন হতে পারে বলে জানিয়েছে দেশটির আবহাওয়া বিভাগ। এ সময় ভারতের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ভারি বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাস বয়ে যেতে পারে।
‘অশনি’র আশঙ্কায় নেওয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। মৎস্যজীবীদের আগামী ১০ থেকে ১২ মে পর্যন্ত সমুদ্রে না যাওয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়েছে প্রশাসন। ইতোমধ্যে উপকূলবর্তী এলাকাগুলোয় মাইকে প্রচারণা চালানো হয়েছে। অশনির প্রভাবে ১১ থেকে ১২ মে পর্যন্ত ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে ভারি বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামে যাওয়ার কথা ছিল পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কিন্তু পরিস্থিতি বিবেচনায় তার সফর স্থগিত করা হয়েছে। ‘অশনি’র আশঙ্কায় সতর্ক কলকাতা পৌরসভাও। ১০-১২ মে কলকাতা পৌরসভার সব কর্মীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
এদিকে, ঘূর্ণিঝড় অশনির বাংলাদেশে আঘাত হানার আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান। তবে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অশনির কারণে বাংলাদেশে সব সমুদ্রবন্দরকে ২ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।