দেশে ৪ দশমিক ৬ শতাংশ মানুষ আইবিএস রোগে ভুগছেন

দেশে ৪ দশমিক ৬ শতাংশ মানুষ আইবিএস রোগে ভুগছেন

স্বাস্থ্য স্লাইড

এপ্রিল ১৯, ২০২৩ ৮:০৪ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশে কমপক্ষে ৪ দশমিক ৬ শতাংশ মানুষ দীর্ঘমেয়াদি অন্ত্রের ব্যাধি বা আইবিএস রোগে ভুগছেন। তাই এ রোগের বিষয়ে মানুষের মাঝে সচেতনতা বাড়তে হবে। উন্নত চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে গবেষণা কার্যক্রম বৃদ্ধি করতে হবে।

বিশ্ব আইবিএস দিবস-২০২৩ উপলক্ষে মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) আয়োজিত সেমিনারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ এ কথা বলেন। বিএসএমএমইউর গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি বিভাগ সেমিনারের আয়োজনে করে।

ডা. শারফুদ্দিন বলেন, অন্ত্রের ব্যাধি ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম বা আইবিএসের চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। রোগটির চিকিৎসা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে। এ বিষয়ে মানুষের মাঝে সচেতনতা বাড়াতে হবে। রোগ নির্ণয়ের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।

সেমিনারে বক্তারা বলেন, আইবিএস বা ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম দীর্ঘমেয়াদি অন্ত্রের ব্যাধি। বিশ্ব জনসংখ্যার ১০ শতাংশ লোক আইবিএস রোগে ভুগছেন। আক্রান্ত ব্যক্তি ঘন ঘন পাতলা পায়খানা, পেটে ব্যথা দীর্ঘমেয়াদি আমাশয়, পেট ফেঁপে থাকা, পেটে কামড় দিয়ে পায়খানা হওয়াসহ নানাবিধ উপসর্গ প্রকাশ করে। অনেকের ক্ষেত্রে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে।

চিকিৎসকরা বলেন, আইবিএস রোগের উপসর্গ নিয়ন্ত্রণই রোগ নিয়ন্ত্রণের মূলমন্ত্র। যেসব খাবারে পেটের সমস্যা বাড়ে, সেসব খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। যেমন- দুধ, দুগ্ধজাত খাবার, শাক, অতিরিক্ত তেলে ভাজা, অতিরিক্ত মশলাযুক্ত খাবার, চিনি, ক্যাফেইন ইত্যাদি এড়িয়ে চলা ভালো। মানসিক চাপ কমাতে ব্যায়াম, যোগব্যায়াম, মেডিটেশন করতে পারেন। প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী উপসর্গ অনুযায়ী উপসর্গ প্রশমনের জন্য ওষুধ সেবন করতে হবে। মনস্তাত্ত্বিক থেরাপি আইবিএস রোগীর জন্য ফলপ্রসূ। জনসচেতনতা ও কুসংস্কার দূরীকরণই হতে পারে আইবিএস মোকাবিলার মূল হাতিয়ার।

অনুষ্ঠানে গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. আনওয়ারুল কবীরের সভাপতিত্বে ও অধ্যাপক ডা. রাজীবুল আলমের সঞ্চালনায় সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মনিরুজ্জামান খান।

প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সহযোগী অধ্যাপক ডা. মাসুদুর রহমান খান ও সহকারী অধ্যাপক ডা. নুরুজ্জামান। সেমিনারে গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি বিভাগের শিক্ষক, চিকিৎসক, শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *