আমাদের শরীরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ প্রত্যঙ্গের মধ্যে মুখের গুরুত্ব অগ্রগণ্য। কেননা মুখের স্বাস্থ্য সুরক্ষিত না হলে তা আমাদের খাবার গ্রহণে নেতিবাচক প্রভাব তৈরি করে। তাই মুখের স্বাস্থ্য ভালো রাখার অন্যতম পূর্বশর্ত হলো মুখ পরিষ্কার রাখা। আর মুখ পরিষ্কার রাখতে দরকার নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করা।
মুখের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় দাঁত ব্রাশ করা অতি জরুরি। তারচেয়ে জরুরি যে ব্রাশ দিয়ে দাঁত মাজতেছেন তার সুরক্ষা নিশ্চিত করা। কেননা দাঁত মাজার ব্রাশ দীর্ঘদিন ব্যবহার করলে স্বাস্থ্যের উপকারের পরিবর্তে ক্ষতি হয় অনেক বেশি।
দিনে দুবার দাঁত মাজলে দাঁত ভালো থাকে। মুখের ভেতরের স্বাস্থ্য় সুরক্ষায় দাঁত এবং মাড়ির যত্ন নেওয়া দরকার। নাহলে তা থেকে হতে পারে নানা অসুখ। অন্তত দু মিনিট ধরে দাঁত মাজলে তবেই মুখের ভেতরের জীবাণু দূর হয় বলে মনে করা হয়।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, মুখের ভেতরের স্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য দাঁতের যত্ন নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজন সঠিক সময়ে দাঁত মাজার ব্রাশ বদলানোও। একই ব্রাশ দীর্ঘদিন ব্যবহার করলে স্বাস্থ্যের উপকারের পরিবর্তে ক্ষতি হবে অনেক বেশি। কিন্তু কতদিন অন্তর দাঁত মাজার ব্রাশ বদলানো উচিত, তা সঠিকভাবে জানা না থাকায় এই বিষয়ে নানা ক্ষতির মুখে পড়ে সাধারণ মানুষ।
দাঁত মাজার ব্রাশ পরিবর্তনের নিয়ম বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বলেন-
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, দাঁত মাজার ব্রাশ অন্তত তিন মাস অন্তর বদলে ফেলা দরকার। যদি আপনি সাধারণ ব্রাশ ব্যবহার করেন তাহলেও। যদি আপনি ইলেকট্রিক ব্রাশ ব্যবহার করেন, সেক্ষেত্রেও। যে কোনও ক্ষেত্রেই তিন মাসের বেশি কোনও ব্রাশ ব্যবহার করলে মুখের স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয়।
কীভাবে ব্রাশ রাখলে তা জীবাণুমুক্ত থাকবে-
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, দাঁত মাজার ব্রাশ রাখার ওপর তার হাইজিন অনেকটা নির্ভর করে।
১. অন্য কোনও দাঁত মাজার ব্রাশের সঙ্গে রাখা চলবে না। না হলে অন্য ব্রাশ থেকে জীবাণু ছড়াতে পারে।
২. প্রতিবার ব্যবহারের আগে ব্রাশ ধুয়ে তবে ব্যবহার করুন।
৩. বাক্সে বা কৌটাতে ব্রাশ রাখবেন না।
৪. অত্যন্ত প্রিয়জনের সঙ্গেও দাঁত মাজার ব্রাশ শেয়ার করা চলবে না। একজন অন্যজনের ব্রাশ দিয়ে দাঁত মাজলে স্বাস্থ্যের নানা ক্ষতি হয়।
৫. ব্রাশ পরিস্কারের জন্য মাউথওয়াথ, সাবান বা অন্য কিছু ব্যবহার করা চলবে না।
তথ্যসূত্র: এবিপি আনন্দ