দক্ষিণ সিটির ৩ মার্কেটে দোকান বরাদ্দের লটারি অনুষ্ঠিত

দেশজুড়ে

এপ্রিল ১২, ২০২২ ৮:৫৫ অপরাহ্ণ

আবুল মনসুর আহমেদ

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেট-১, ঢাকেশ্বরী রোড সাইড মার্কেট এবং গোলাপবাগ মাঠ দর্শক গ্যালারি মার্কেটে দোকান বরাদ্দের লটারি অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়াও বাংলাদেশ মাঠ নির্মাণের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত ৩৩ ব্যবসায়ীকে ঢাকেশ্বরী রোড সাইড মার্কেটে দোকান বরাদ্দের লক্ষ্যে একইসাথে লটারি অনুষ্ঠিত হয়।

আজ মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে নগর ভবনের মেয়র হানিফ মিলনায়তনে এই লটারি অনুষ্ঠিত হয়।

গোলাপবাগ মাঠ দর্শক গ্যালারী মার্কেটে ৪৩টি দোকান এবং ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেট-১ এ ৮২টি দোকান বরাদ্দের পাশাপাশি বাংলাদেশ মাঠ দর্শক গ্যালারী মার্কেটটির আধুনিকায়নের ফলে সেখানকার ক্ষতিগ্রস্ত ৩৩ জন ব্যবসায়ীকে স্থানান্তরসহ ঢাকেশ্বরী রোড সাইড মার্কেটে মোট ৬২টি দোকান বরাদ্দের লক্ষ্যে আজকের লটারি অনুষ্ঠিত হয়।

লটারি আয়োজন প্রসঙ্গে দক্ষিণ সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ বলেন, জটিলতা নিরসন করে দীর্ঘদিন পরে আমাদের তিনটি মার্কেটের দোকান বরাদ্দ দেওয়ার লক্ষ্যে আজকে লটারির আয়োজন করা হয়েছে। লটারির বিপরীতে যারা দোকান বরাদ্দ পেয়েছেন আমরা অতি দ্রুত তাদেরকে দোকান বুঝিয়ে দেবো। তারা সহসা দোকান বুঝে নিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য শুরু করতে পারবেন। করপোরেশন এখন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দোকান বরাদ্দ, জামানতের অর্থ ফেরত দেওয়া এবং মার্কেট নির্মাণের বিষয়ে নীতিগতভাবে দৃঢ় প্রত্যয়ী।

উল্লেখ্য যে, ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেট-১ এ ২০০৪ সালে ৮২টি দোকান বরাদ্দের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলে দেখা যায় যে — মাত্র ৮২টি আবেদনপত্র জমা পড়ে। তা অস্বাভাবিক মনে হলে করপোরেশন আবারও বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। ফলে দোকান মালিকরা করপোরেশনের বিরুদ্ধে ২০০৬ সালে রিট আবেদন করেন এবং মহামান্য হাইকোর্ট করপোরেশনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ ও সংক্রান্ত কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করে। তৎপরবর্তী ৮২ জন দোকান মালিক যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করেই তাদের দোকানগুলো বুঝে নেয়। ফলে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ ছাড়ায় সেই দোকানগুলো দীর্ঘদিন ধরে তারা ভোগ দখল করতে থাকে এবং দোকানগুলো হতে করপোরেশন রাজস্ব আয় বঞ্চিত হতে থাকে। এমতাবস্থায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বর্তমান মেয়র রিট আবেদনটি খারিজের উদ্যোগ গ্রহণ করেন এবং সেসব দোকান বরাদ্দে যথাযথ ও আইনত বৈধ পন্থা অবলম্বনের নির্দেশ দেন। নির্দেশনার আলোকে আজ সেই ৮২ জন দোকানদারের মাঝেই দোকানগুলো বরাদ্দ দেওয়ার লক্ষ্যে লটারির আয়োজন করা হয়। ইতঃপূর্বে ভোগকৃত সময়ের ভাড়ার পুঞ্জিভূত অর্থ পরিশোধ সাপেক্ষে তাদেরকে লটারিতে প্রাপ্ত দোকান বুঝিয়ে দেওয়া হবে।

লটারি বরাদ্দ অনুষ্ঠানে বরাদ্দগ্রহীতাগণ, দক্ষিণ সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর শিরিন গাফফার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *