মোঃ ফারদিন সিয়াম (শিক্ষার্থী) সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, ঢাকা।
মুসলিম উম্মাহের বছরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উৎসব আমেজ ও খুশির দিন ঈদ। আগামীকাল উদযাপিত হবে পবিত্র ঈদ-উল-আযহা।
কুরবানি শব্দের আভিধানিক অর্থই হচ্ছে ত্যগ, নৈকট্য।
মহান আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টির উদ্দ্যেশ্যে গরু, ছাগল,দুম্বা ভেড়া জবেহ করার শরীয়তি বিধান রীতিকেই কুরবানি বলে অভিহিত করা হয়।
হাদীস বর্ণিত আছে, আল্লাহর কাছে কুরবানির মাংস, রক্ত চামড়া পৌছায় না বরং পৌছায় তাকওয়া।
প্রতিটি কাজ নিয়তের উপর নির্ভরশীল (সহিহ বুখারি:১)।
কুরবানি সৃষ্টির সেরা জীব মানুষের আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে সম্পাদিত কাজ।
লোক দেখানো কিংবা সুনামের ভাগীদার অথবা ঘরে নিজের ফ্রিজ মাংসে পূর্ণ করার নাম কুরবানি নয়, সমাজে কিছু ঘরে ঘরে এমনটাই দেখা হয়।
ইসলামি শরীয়তে, কুরবানির গোস্ত ৩ ভাগে ভাগ করার বিধান রয়েছে যথা: ১. নিজের ভাগ
২. আত্মীয় স্বজনের ভাগ ৩. ফকির, মিসকিন; (দুস্থদের) ভাগ।
ইসলাম একটি পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থাপনার ধর্ম।
ইসলামি বিধান অনুযায়ী কুরবানি না করলে তা কবুল হয় না।
সম্প্রতি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যারা কুরবানি ঈদ বা উৎসবে বাড়িতে যেতে পারে না হলই কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় যাদের ঠাই তাদের কথা ভেবে ৫টি খাসি ছাগল কুরবানির কথা ঘোষণা দিয়েছেন, এমন মহৎ উদ্দ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীগণ।
সমাজের প্রতিটি স্তরে স্তরে এমন উদ্যোগ গ্রহীত বা সঠিক নিয়মে কুরবানী মাংস বন্টিত হলে ঘুচে যাবে অসহায়, ছিন্নমূল, সুবিধাবঞ্চিতদের দুঃখ,কষ্ট ও গ্লানি।
উদিত হবে সুখ, শান্তি ও সমদ্ধির ধ্বনি।
কুরবানি মূল উদ্দেশ্যই ত্যাগ, নৈকট্য, আল্লাহর সন্তুষ্টি।
সমাজের বিত্তবানরা সঠিক নিয়মে কুরবানী বিধি পালন করলে ধনী-গরিব বৈষম্য দূর হয়ে এর মহাত্ম্য ছড়িয়ে পড়বে সকলের মাঝে।
ঈদ বয়ে আনুক সকলের জীবনে অনাবিল সুখ, শান্তি এবং মহান স্রষ্টার সমৃদ্ধি।