স্টাফ রিপোর্টার
ডেঙ্গুর প্রকোপ মোকাবিলায় রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় তিন হাজার মশারি বিতরণ করেছে আবাসন কোম্পানি পুষ্পধারা প্রপার্টিজ লিমিটেড। সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচির আওতায় মঙ্গলবার (৬ জুন) রাতে এ সব মশারি বিতরণ করেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সৈয়দ আলীনুর ইসলাম।
এদিন রাতে রাজধানীর কাকরাইল, শান্তিনগর, মৌচাক, মালিবাগ, রামপুরা, ডিআইটি রোড, বাড্ডা, শাহবাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, চানখারপুর, পল্টন, গুলিস্তান এলাকায় অসহায়, শ্রমজীবী ও ভাসমান মানুষের মাঝে এ সব মশারি বিতরণ করা হয়।
মশারি পেয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন মালিবাগের রিকশাচালক মফিজুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমি যে গ্যারেজে ঘুমাই সেখানে এতদিন মশারি ছিল না। আজ নতুন মশারি পেয়ে ভালো লাগছে।’
রামপুরায় এটিএম বুথের নিরাপত্তারক্ষী মো. আলাউদ্দীন বলেন, ‘রাত হলেই মশার উপদ্রব বাড়ে। মশারি পেয়েছি, এখন মশার উপদ্রব থেকে বাঁচতে পারব। পুষ্পধারার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।’
মশারি বিতরণের সময় পুষ্পধারার পরিচালক (বিক্রয় ও বিপনন) অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ মনিরুজ্জামান (শাশ্বত মনির), পরিচালক (ক্রয়) হাসিবুল হক মামুন, পরিচালক (করপোরেট অ্যাফেয়ার্স) মঈন উদ্দিন খান, পরিচালক (অর্থ) ফয়সাল আহমেদ খান, পরিচালক (অপারেশন) কামরুল আলম রিয়াজ, পরিচালক আতিকুর রহমান মিন্টু, লিগ্যাল অ্যাডভাইজার মাহবুব হাসান রুবেল, লিগ্যাল অ্যাডভাইজার ইকতান্দার বাপ্পি, জি এম আবু বকর সিদ্দিক (হেড অফিস), জি এম করপোরেট শাখা আবদুল্লাহ আল মামুন, এজিএম (মার্কেটিং) মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, মাওলানা জহুরুল হক চাঁন উপস্থিত ছিলেন।
মশারি বিতরণ উপলক্ষে পুষ্পধারার পরিচালক (বিক্রয় ও বিপনন) অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ মনিরুজ্জামান (শাশ্বত মনির) বলেন, ‘আমরা আশাবাদী এই মশারিগুলো প্রান্তিক মানুষের কাজে লাগবে। এতে কিছুটা হলেও ডেঙ্গু থেকে সচেতন থাকা যাবে। এরকম উদ্যোগ আমরা অব্যাহত রাখব।’
পুষ্পধারার ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ আলীনুর ইসলাম বলেন, ‘প্রতিদিনই ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। মৃত্যুর খবরও ছাপা হচ্ছে। ধীরে ধীরে ডেঙ্গু পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হচ্ছে। এই অবস্থায় যার যার অবস্থান থেকে ডেঙ্গু মোকাবিলায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো উচিত।’