জুলাই ২৬, ২০২৪ ১০:০১ পূর্বাহ্ণ
আপনার জীবনব্যবস্থায় মোবাইল কি নেতিবাচত প্রভাব ফেলছে? তবে সুস্থ জীবন যাপন করার চাবিকাঠি কিন্তু আমাদেরই হাতে। নিজেকে বদলানোর চেষ্টা শুরু করতে হবে ধীরে ধীরে।
ডিজিটাল দুনিয়া পড়াশোনার যেমন ক্ষতি করছে, তেমনই কাজের প্রতিও মনোযোগ কমাচ্ছে। কাছের সম্পর্কগুলোও ক্রমশ দূরে চলে যাচ্ছে এই কারণে। ডিজিটাল দুনিয়া কেড়ে নিচ্ছে আড্ডা-অবসর।
নিজেকে বদলাবেন যেভাবে…
ফোন ছাড়া ঘুরে আসুন: বেড়াতে গেলে এমনিই আমাদের মন ভালো হয়ে যায়। দুদিন মোবাইল ফোন ছাড়া আশপাশের কোনো পাহাড়ি গ্রাম থেকে ঘুরে আসুন। খরস্রোতা নদীর বয়ে চলার দৃশ্য, পাহাড়ি গ্রামের মনোরম পরিবেশ মন খুলে উপভোগ করুন। কাল্পনিক বা ভার্চুয়াল জগতে নয়, প্রকৃতিকে উপভোগ করুন বাস্তবে। ফোন ছাড়া একটু অসুবিধা হবে ঠিকই, কিন্তু ফেরার পর মন অনেকটাই হালকা লাগবে।
বন্ধু খুঁজুন: ডায়েটের সময় আপনার একজন সঙ্গী দরকার। তাকে নিজের সমস্যার কথা খুলে বলুন। কোনো সময় ডিজিটাল দুনিয়ার প্রতি বেশি আসক্তি দেখালে তিনিই আপনাকে আটকাবেন। এই বন্ধু আপনার বাড়ির কোনো সদস্যও হতে পারেন। তার সঙ্গে গল্প করে অনেকটাই সময় কাটাতে পারেন।
অ্যাপ ডিলিট করুন: দরকারি অ্যাপ ছাড়া বাকি অ্যাপগুলো ফোনে না রাখাই ভালো। মানে ধরুন, অ্যাপ ক্যাপ বুক করা, খাবার অর্ডার করার মতো দরকারি অ্যাপ রেখে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং ও চ্যাট করার অ্যাপ ছাঁটাই করুন। দেখবেন, আর ফোনের দিকে তাকাতেও ইচ্ছে করবে না। কাজটা কঠিন হলেও করতে হবে।
ফোন থেকে সাবধান: মোবাইল ফোন দিনের বেশির ভাগ সময় কেড়ে নেয়। হাতের কাছে ফোন থাকলেই, ফোন নাড়াচাড়া করতে ইচ্ছে করে। তাই বাড়িতে ফোনের জন্য একটা জায়গা নির্দিষ্ট করুন। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগের মুহূর্ত পর্যন্ত চোখের সামনে ফোন নিয়ে খুটখুট করবেন না। ফোনের আলো কিন্তু ঘুমেও ব্যাঘাত ঘটায়। ঘুমানোর অন্তত ঘণ্টা খানেক আগে থেকে ফোন থেকে দূরত্ব তৈরি করুন।
সময় স্থির করুন: কতক্ষণ টিভি দেখবেন, কম্পিউটার চালাবেন আর ফোন ঘাঁটবেন, তার সময় বেঁধে নিন। চেষ্টা করুন ঘুম থেকে উঠেই ফোন থেকে অন্তত ঘণ্টাখানেক দূরে থাকার। চেষ্টা করুন অফিসের কাজ বাড়িতে নিয়ে না আসার। ঘুমানোর অন্তত ঘণ্টাখানেক আগে ফোন রেখে দিন। অবসর সময় বই পড়ুন, পরিবারের সঙ্গে কাটান, গান শুনুন। নিজের পুরোনো শখগুলো নিয়ে আবার ভাবনাচিন্তা শুরু করুন।