চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ফিলিস্তিনিদের জন্য একসঙ্গে কাজ করার ঘোষণা দিয়েছে অঞ্চলটির দুই রাজনৈতিক পক্ষ হামাস ও ফাতাহ। যুদ্ধ-পরবর্তী জোট সরকার গঠনেও একমত হয়েছে তারা। চীনের মধ্যস্থতায় তারা এ ঘোষণা দিয়েছে।
জানা গেছে, যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর গাজার উপর নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে ‘জাতীয় ঐক্যের সরকার’ গঠনের চুক্তিতে সই করেছে ফিলিস্তিনের দুই প্রধান রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাস ও ফাতাহ। মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) চীনের মধ্যস্থতায় বেইজিংয়ে গোষ্ঠী দুটির নেতারা এই চুক্তিতে সই করেন।
এমন এক সময় বিষয়টি সামনে এল যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বৈঠকের খবর শোনা যাচ্ছে।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, রুদ্ধদ্বার এ বৈঠকে ফাতাহ, হামাসসহ অন্য দলগুলোর বিদ্যমান বিভক্তি ও বর্তমান ফিলিস্তিন পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে আলোচনার বিস্তারিত প্রকাশ করা না হলেও বলা হচ্ছে, নিজেদের সম্পর্কোন্নয়নে একমত পোষণ করেছে তারা। একই সঙ্গে স্বাধীন ফিলিস্তিন ইস্যুতে একসঙ্গে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন উভয় সংগঠনের নেতারা।
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেছেন, তিন দিনের নিবিড় আলোচনার পর মঙ্গলবার চীনে চূড়ান্ত হওয়া এই চুক্তিটি গাজাকে শাসন করার জন্য একটি ‘অন্তর্বর্তীকালীন জাতীয় ঐক্যের সরকার’ গঠনে ভূমিকা রাখবে। চুক্তিটি দীর্ঘমেয়াদী প্রতিদ্বন্দ্বী হামাস, ফাতাহ ও অন্যান্য ১২ফিলিস্তিনি গ্রুপ দ্বারা সই হয়েছে।
চুক্তিতে সই করা ১৪টি উপদলের মধ্যে একটি প্যালেস্টাইন ন্যাশনাল ইনিশিয়েটিভের মহাসচিব মুস্তাফা বারঘৌতি আল জাজিরাকে বলেছেন, চুক্তিটি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে উপনীত হওয়া অন্য যে কোনো চুক্তির তুলনায় ভালো ও সুদুরপ্রসারী।
ফিলিস্তিন প্রশ্ন ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির দিক থেকে ফাতাহ ও হামাসের অবস্থান আলাদা। দেড় দশক আগে নির্বাচনে জেতার পর থেকে পশ্চিম তীর নিয়ন্ত্রণ করছে ফাতাহ। অন্যদিকে গাজা রয়েছে হামাসের নিয়ন্ত্রণে। ভিন্ন দুটি অঞ্চলে নির্বাচনে আলাদা ফলের পর বিভিন্ন দাবি নিয়ে পক্ষ দুটির মধ্যে বিভক্তি বড় আকার ধারণ করে। বিষয়টি সমাধানে একাধিকবার আলোচনার উদ্যোগ নেওয়া হলেও পরে তা ভেস্তে যায়। তবে সাম্প্রতিক ইসরায়েলি হামলায় হামাসের সঙ্গে বৈরিতাকে সামনে না এনেই আন্তর্জাতিক স্তরে প্রতিবাদ জানিয়েছে ফাতাহ।