দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চির করা আপিল খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। বুধবার (০৪ মে) তার আপিল খারিজ করে দেন দেশটির জান্তা সরকারের একটি আদালত।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয় সু চির বেসামরিক সরকার। সু চিকে গৃহবন্দি করা হয়।
সু চির বিরুদ্ধে দুর্নীতি থেকে শুরু করে দেশদ্রোহিতাসহ নানা অভিযোগ এনেছে মিয়ানমারের জান্তা সরকার। এসব অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হলে সব মিলিয়ে তার ১৯০ বছরের সাজা হতে পারে।
গত সপ্তাহে সু চির বিরুদ্ধে দায়ের করা ১১ দুর্নীতি মামলার প্রথম রায়ে তাকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এরপর এর বিরুদ্ধে আদালতে আপিল করেন সূ চি।
রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, দুর্নীতি মামলার রায়ের বিরুদ্ধে সু চির আপিল আবেদনটি বুধবার খারিজ করে গত ২৭ এপ্রিল দেওয়া শাস্তি বহাল রেখেছেন আদালত।
মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, ‘খুব সংক্ষিপ্ত আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়ায় আপিলটি খারিজ করা হয়।’ এটি আরও জানায়, আদালত উভয় পক্ষের যুক্তি না শুনেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে।
অভ্যুত্থানের পর থেকে, ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১-এ, সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে।
অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনারস (বার্মা) এর মতে, জান্তা সরকার বিক্ষোভ দমনে অনেক ক্ষেত্রে সহিংসতার আশ্রয় নিয়েছে। এর ফলে ১,৮০০ জনেরও বেশি বেসামরিক লোক নিহত হয়। এছাড়া ১০ হাজারেরও বেশি গ্রেফতার, অভিযুক্ত কিংবা দণ্ডিত হয়েছে।