বর্তমান সময়ের নিরব ঘাতক হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে উদ্বেগ ও মানসিক অবসাদকে। কেননা মনের নেতিবাচক দিক শরীরে দুরারোগ্য রোগ বাসা বাঁধার আমন্ত্রণ জানাতে পারে বলে মনে করছেন আমেরিকার গবেষকরা।
‘অ্যাসোসিয়েশন অব ডিপ্রেশন অ্যান্ড অ্যাংজাইটি উইথ দ্য অ্যাকুমুলেশন অব ক্রনিক কন্ডিশনস’ নামক গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, বয়স ও লিঙ্গভেদে, মানসিক অবসাদ ও উদ্বেগ মানুষের স্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে।
বিরূপ প্রভাবগুলোর মধ্যে রয়েছে উচ্চ রক্তচাপ, হাঁপানি, সিওপিডি, হৃদরোগ এবং বিভিন্ন ধরনের ক্যানসারের মতো দুরারোগ্য রোগ।
গবেষকরা এ সিদ্ধান্তে আসার আগে আমেরিকার মিনেসোটা স্টেটের ৪০৩৬০ জনের ওপর একটি সমীক্ষা চালান। সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের বয়সভেদে ২০ বছর, ৪০ বছর ও ৬০ বছর- এই তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়।
এ তিনটি বিভাগের পাশাপাশি আরও ৪ টি শ্রেণি তৈরি করা হয়। তবে এই শ্রেণি বয়সভেদে নয়, মানসিক স্বাস্থ্যের অবস্থার ওপর ভিত্তি করে করা হয়।
এই শ্রেণিতে প্রথমে রয়েছেন যারা কেবল উদ্বেগে ভুগছেন। দ্বিতীয় শ্রেণিতে রয়েছে যারা শুধুমাত্র মানসিক অবসাদে ভুগছেন, তৃতীয়তে রয়েছে যারা দু’টি সমস্যাতেই ভুগছেন এবং চতুর্থ শ্রেণিতে তারাই ছিলেন যারা কোনও সমস্যাতেই ভুগছেন না।
দীর্ঘ সময় পর্যবেক্ষণ করে গবেষকরা দেখতে পান, সব বয়সী নারীদের ক্ষেত্রেই মানসিক অবসাদ ও উদ্বেগ বাড়িয়ে দিয়েছে দীর্ঘস্থায়ী শারীরিক রোগের ঝুঁকি।
তবে পুরুষদের ক্ষেত্রে সব বয়সীর ক্ষেত্রে এমন ঝুঁকি নেই। তবে গবেষণা ফল বলছে, ২০ বছর বয়সী পুরুষ যদি দুশ্চিন্তা ও মানসিক অবসাদে ভোগেন। তবে তারা প্রায় ১৫ রকম গুরুতর ও দীর্ঘস্থায়ী রোগ যেমন উচ্চ রক্তচাপ, হাঁপানি, সিওপিডি এবং বিভিন্ন ধরনের ক্যানসারে আক্রান্ত হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস