জ্বরে নতুন করে আরও ২১ জনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছে উত্তর কোরিয়া। এছাড়া কয়েক হাজার মানুষের শরীরে জ্বরের লক্ষণ দেখা দিয়েছে।
আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, দেশটির প্রেসিডেন্ট কিম জং উন করোনার প্রকোপ তার দেশকে ‘ভয়াবহ টালমাটাল’ অবস্থার মধ্যে রেখেছে বলে সতর্ক করেছেন।
এর আগে উত্তর কোরিয়া গত বৃহস্পতিবার প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাস শনাক্তের কথা স্বীকার করে। এর এক দিন পরই প্রথম রোগীর মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করে দেশটি।
শুক্রবার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা কোরিয়ান ন্যাশনাল নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ায় করোনার ভয়াবহ সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। সাড়ে তিন লাখ মানুষ ইতিমধ্যে জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন।
২০২০ সালে করোনার শুরু থেকেই বিধিনিষেধের মধ্যে রয়েছে উত্তর কোরিয়া। কিন্তু আশপাশের সব দেশে অমিক্রনের ব্যাপক সংক্রমণ ঘটে। তখন বিশেষজ্ঞরা বলেছিলেন, উত্তর কোরিয়ায় সংক্রমণ ছড়ানো সময়ের ব্যাপার মাত্র।
গত এপ্রিলের শেষ থেকে পুরো উত্তর কোরিয়ায় জ্বরের প্রকোপ দেখা যায়, যার কারণ জানা যায়নি। এই আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ছয়জন মারা গেছেন, যার একজনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছিল। আড়াই কোটি মানুষের দেশটিতে করোনার টিকা দেওয়া হয়নি।
আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, উত্তর কোরিয়ায় জ্বরে সর্বমোট ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। অসুস্থ রয়েছেন ৫ লাখ ২৪ হাজার ৪৪০ জন। দেশটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২ লাখ ৪৩ হাজার ৬৩০ জন সুস্থ হয়েছেন এবং ২ লাখ ৮০ হাজার ৮১০ জন কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন।
করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির মধ্যে দেশটির শাসক দল ওয়ার্কাস পার্টি জরুরি বৈঠকে বসে। এই বৈঠকে কিম জং উন হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, সংক্রমণ শুরুর পর তার দেশ ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে আছে। তবে কর্মকর্তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হবেন বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।