পাকিস্তানের রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করায় ইমরান খানের সাবেক স্ত্রী জেমিমার ছোটভাই ব্রিটেনের প্রশান্ত মহাসাগরীয় ও পরিবেশবিষয়ক পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যাক গোল্ডস্মিথকে তিরস্কার করেছে দেশটির সরকার। প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের কার্যালয় মঙ্গলবার জানিয়েছে, পাকিস্তানের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে সম্মান করে ব্রিটেন। তাই, তাদের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে না ১০ ডাউনিং স্ট্রিট। জনসনের কার্যালয় আরও জানিয়েছে, জ্যাক গোল্ডস্মিথের মন্তব্য ব্রিটেন সরকারের প্রতিনিধিত্ব করে না। বিবিসি।
পাকিস্তানের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সমর্থনে টুইট করে বিপদেই আছেন ব্রিটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লর্ড জ্যাক গোল্ডস্মিথ। ইমরানের সাবেক শ্যালক (জেমিমা গোল্ডস্মিথের ছোটভাই) তিনি। জাতীয় পরিষদে অনাস্থা ভোটে হেরে ক্ষমতাচ্যুত হওয়া ইমরানের পক্ষে টুইট করে ব্রিটিশ সরকারের জবর ‘চড়’ খেয়েছেন জ্যাক। সরকারের পক্ষ থেকে তাকে তিরস্কার করার পর টুইটটি মুছে ফেলতে বাধ্য হন তিনি।
লর্ড জ্যাক গোল্ডস্মিথ টুইটে লিখেছিলেন, ইমরান খান একজন ভালো এবং ভদ্র মানুষ। বিশ্বমঞ্চে সবচেয়ে কম দুর্নীতিবাজ রাজনীতিবিদদের একজন। আগামী নির্বাচনে তিনি বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ফিরবেন, এতে আমার কোনো সন্দেহ নেই।’ এ নিয়ে হুমড়ি খেয়ে পড়েছিল ব্রিটিশ মিডিয়াগুলো। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে যোগাযোগ করা হলে, ১০ ডাউনিং স্ট্রিটের একজন মুখপাত্র প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন, ‘পাকিস্তানের বিষয়ে আমরা পাকিস্তানের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে সম্মান করি এবং আমরা এর অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিষয়ে নাক গলাব না। পাকিস্তানের সঙ্গে আমাদের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক রয়েছে। আমরা তাদের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ করছি।’ লন্ডনের মেয়র সাদিক খানের বিরুদ্ধে জ্যাক গোল্ডস্মিথের প্রচারণার সময়, ইমরান খান গোল্ডস্মিথকে সমর্থন করেছিলেন এবং তার অনুসারীদের তার নির্বাচনি বিডকে সমর্থন করার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। সেসময় গোল্ডস্মিথের প্রতি ইমরান খানের সমর্থনে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন সাদিক খান।