সামরিক অভিযান শুরুর পর প্রায় এক মাস রাশিয়ান সেনাদের দখলে ছিল ইউক্রেনের বুচা শহর। দখলমুক্ত হলেও শহরটির পরতে পরতে রয়ে গেছে ধ্বংসযজ্ঞের চিহ্ন।
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ থেকে একটু দূরে বুচা এলাকার বাসিন্দা ইরাইনা আব্রামচুক। অশ্রুসজল চোখে ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে ফুল হাতে দাঁড়িয়ে গণকবরের সামনে। এখানেই শায়িত তার একমাত্র বড় ভাই। রাশিয়ার সামরিক অভিযানে সম্মুখযুদ্ধে লড়াই করে মৃত্যু হয়েছে তার।
জানতে চাইলে ইরাইনা আব্রামচুক বলেন, দেশের জন্য হাতে অস্ত্র তুলে নিয়ে প্রাণ দিতে হয়েছে আমার ভাইকে। তার নিথর দেহ পড়ে ছিল হাসপাতালের মর্গে, মাথার মাঝ বরাবর গুলির বেশ বড় ছিদ্র ছিল।
এই গণকবরে একসঙ্গে চারশ’র বেশি মানুষকে সমাহিত করা হয় বলেও জানান ইরাইনা। শহরটির নাগরিকদের গণহত্যার জন্য তিনি অভিযোগ তোলেন রাশিয়ার বিরুদ্ধে। তবে, রাশিয়া বরাবরই এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
বিশ্বের বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেখা মিলছে বুচা শহরের রাস্তায় বেসামরিক লোকজনের মৃতদেহ ও ধ্বংসযজ্ঞের ছবি। এসব ধ্বংসযজ্ঞের ফলে শহরটি যেন এখন নিস্তব্ধ নগরীতে পরিণত হয়েছে।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, এটি সত্যিই বিভৎস। এখানে আপনারাই দেখতে পাচ্ছেন যে রাশিয়ার সেনারা কীভাবে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। বোমার আঘাতে ঝলসে গেছে সবকিছু।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বুচার ঘটনাকে ‘যুদ্ধাপরাধ’ হিসেবে চিহ্নিত করলেও এসব ছবি ও ভিডিওতে জালিয়াতির প্রমাণ পাওয়ার দাবি করেছেন রাশিয়ার সামরিক বিশেষজ্ঞরা।
এদিকে, মস্কো-কিয়েভ এখন পর্যন্ত বেশ কয়েক দফায় শান্তি আলোচনায় বসলেও মেলেনি কোনো সমাধান।