এপ্রিল ১১, ২০২২ ৮:৪৪ পূর্বাহ্ণ
রাশিয়ার সামরিক অভিযানের কারণে চলতি বছর ইউক্রেনের অর্থনীতি অর্ধেক হয়ে যাবে। সেই সঙ্গে ভয়াবহ রূপ নেবে মানবিক সংকট। তবে শুধু ইউক্রেনই নয়, বড় মন্দার মুখে পড়বে রাশিয়াও। এমনটাই বলছে বিশ্বব্যাংক। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।
রোববার (১০ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, সংঘাতের ফলে কৃষ্ণসাগর তীরবর্তী ইউক্রেনের সমুদ্রবন্দরগুলো অবরুদ্ধ হয়ে আছে। এদিকে পূর্বাঞ্চলের শিল্প-কারখানা প্রায় ধ্বংস হয়ে গেছে। ফলে দেশটির জিডিপি চলতি বছরের শেষ নাগাদ ৪৫ শতাংশ সংকুচিত হবে।
গত সপ্তাহে প্রায় একই ভবিষ্যদ্বাণী করেন ইউক্রেনের উপ-অর্থমন্ত্রী ডেনিস কুদিন। তিনি বলেন, ২০২২ সালে তার দেশের অর্থনীতি ৪০ শতাংশ সংকুচিত হবে। রাশিয়ার সামরিক অভিযানে অর্থনীতি একেবারে ভেঙে পড়েছে বলে মন্তব্য করেন ইউক্রেনের এ রাজনীতিক।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। এরপর দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ফলে ইউক্রেনের প্রায় এক কোট মানুষ আভ্যন্তরীণভাবে উদ্বাস্তু হয়েছে।
বিবিসি বলছে, রুশ অভিযানের মুখে ইউক্রেনের জনশক্তির সিংহভাগেই দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে। ফলে কৃষি, ব্যবসা-বাণিজ্য একপ্রকার বন্ধ হয়ে গেছে। রাস্তাঘাট, কল-কারখানা ও অন্যান্য অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে গেছে।
গম ও সূর্যমুখী তেলের শীর্ষ রফতানিকারক হওয়ার কারণে ইউক্রেনকে ইউরোপের রুটির ঝুড়ি বলা হতো। কিন্তু চলমান যুদ্ধে দেশটির রফতানি মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে। ফলে প্রতিবেশী দেশগুলোও দুর্ভোগ পোহাবে।
বিশ্বব্যাংক বলেছে, ইউক্রেনের পাশাপাশি রাশিয়ার অর্থনীতিও ধসে পড়বে। ইউক্রেনে অভিযানের জেরে পশ্চিমা দেশগুলোর দেওয়া অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার প্রভাবে দেশটি বড় মন্দার মুখে পড়তে যাচ্ছে।
প্রতিষ্ঠানটির বিবৃতিতে বলা হয়, যুদ্ধ উভয় দেশের (ইউক্রেন ও রাশিয়া) অর্থনীতি ও মানুষের ওপর একটা মারাত্মক প্রভাব ফেলবে। শুধু তাই নয়, ইউরোপ, মধ্য-এশিয়ার দেশগুলো এবং এমনকি পুরো বিশ্বই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।