ডিসেম্বর ১৮, ২০২২ ৯:২৪ পূর্বাহ্ণ
বিক্ষোভের মুখে করোনার বিধি-নিষেধ শিথিল করে চীন। তাই ডিসেম্বরের প্রথমদিকে হঠাৎ বেড়ে যায় করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যু। ২০২৩ সালে করোনায় ১০ লাখ মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা করছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক স্বাস্থ্য সংস্থা ইনস্টিটিউট অব হেলথ মেট্রিক্স এবং অ্যাভ্যুলেশন (আইএইচএমই)।
সংস্থাটির পরিচালক ক্রিস্টোফার মুরে বলেন, আগামী বছরের এপ্রিলে চীনে করোনার প্রাদুর্ভাব চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছাতে পারে বলে ধারণা করছি। এমনকি, িঐ সময়ে করোনা আক্রান্ত হয়ে চীনের ৩ লাখ ২২ হাজার মানুষের মৃত্যু হতে পারে। পাশাপাশি দেশটির চার ভাগের তিন ভাগ মানুষ প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে সংক্রমিত হতে পারেন।
তিনি আরো বলেন, চীন এত দীর্ঘ সময় জিরো কোভিড নীতি অব্যাহত রাখবে, তা কেউই ভাবতে পারেনি। কঠোর নীতির কারণে প্রথমদিকে করোনার অন্যান্য ধরন নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেও ওমিক্রনের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খায় চীন।
সংস্থাটি আরো দাবি করে, দেশটির দুর্বল টিকার কারণে অবস্থা খারাপ ধারণার চেয়েও বেশি খারাপ হতে পারে। যদি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যায় তাহলে চীনের ৬০ শতাংশ মানুষ, বিশেষ করে অসুস্থ ও বয়োজ্যেষ্ঠ নাগরিকরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
মুরে জানান, সিয়াটেলের ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক গবেষণাটি করেছেন। তবে মূল চীনের বদলে হংকংয়ে ওমিক্রনের প্রাদুর্ভাবের প্রাদেশিক ডেটা ও তথ্য পর্যালোচনা করা হয়েছে।
মুরের দাবি, উহানে করোনার প্রাদুর্ভাব শুরুর পর থেকে চীনে মৃত্যুর খবর মেলেনি। তাই সংক্রমণের মৃত্যুর হার সম্পর্কে ধারণা পেতে হংকংয়ের তথ্য-উপাত্ত বেছে নিয়েছি।
এদিকে, মানুষের ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে এ বছরের ৭ ডিসেম্বর করোনাসংক্রান্ত কঠোর বিধি-নিষেধ তুলে নিলেও এ সময়ের পরে করোনায় আক্রান্ত হয়ে চীনে কারো মৃত্যু হয়নি। সর্বশেষ গত ৩ ডিসেম্বর করোনায় একজন মারা যাওয়ার কথা জানায় দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। বর্তমানে চীনে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৫ হাজার ২৩৫ জন। তবে বিধি-নিষেধ শিথিলের পর মৃত্যু হার কমলেও দেশটিতে হু হু করে বাড়ছে সংক্রমণ।