মোঃ আব্দুল হান্নান,নাসিরনগর,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার গোর্কণ ইউনিয়নের ব্রাহ্মণশাসন গ্রামে স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজনের অত্যাচারে সহ্য করতে না পেরে প্রবাস ফেরৎ তিন মাসের অন্তঃসত্বা নারগিছ বেগম নামে এক গৃহবধু গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
ওই ঘটনায় নার্গিসের পিতা সোবান মিয়া বাদী হয়ে
মস্তু মিয়া,আহাম্মদ মিয়া,আঙ্গুরা বেগম,গোল আহাম্মদ,মঞ্জু মিয়া,মক্তু মিয়া,সৈয়দ হোসেন সহ সাত জনকে আসামী করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালতে মামলা দায়ের করেছে।আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তক্রমে আদালতে তদন্ত প্রকিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলা সুত্রে জানা গেছে,বাদীর মেয় নিহত নারগিছ বেগম সৌদি আরব থাকতো।পরবর্তীতে প্রতিবেশী আহাস্মদ মিয়ার ছেলে মস্তু মিয়া ও সৌদি আরব যায়।সেখানে গিয়ে মস্তু মিয়া কৌশলে
নারগিছকে তার জিম্মায় নিয়ে আসে।সেখানে তারা বিয়ে করে বৈধ স্বামী স্ত্রী হিসেবে বসবাস করতে থাকে।পরবর্তীতে নার্গিস তিন মাসের অন্তঃসত্বা হয়ে পড়লে নারগিছকে দেশে পাঠিয়ে দেয় স্বামী মস্তুু।
নারগিছ দেশে এসে তার শ্বশুর বাড়িতে গেলে সেখানে তাকে স্থান দেয়নি শ্বশর বাড়ির লোকজন।
পরে স্বামী মস্তু নারগিছকে প্রতিবেশী হাবিব মিয়ার বাসায় একটি রোম ভাড়া করে দেয়।সেখানেও নারগিছের উপর শুরু হয় শ্বশুর বাড়িরর লোকজনের অত্যাচার।স্বামীও প্রবাস থেকে পাচ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবী করতে থাকে। সকল অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে ৩০ জুন রাত অনুমান তিনঘটিকার সময় ভাড়াটিয়া বাসায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে নারগিছ।