নতুন প্রজন্মের অস্ত্র তৈরির দিকে বরাবরই বেশি ঝোঁক ছিল পুতিন সরকারের। আর এ কারণেই ২০১৮ সালে বেশ কয়েকটি নতুন অস্ত্রের কথা ঘোষণা করেছিলেন তিনি। যার মধ্যে একটি ছিল লেজার অস্ত্র।
এ অস্ত্রের পাশাপাশি আরও যে অস্ত্র তৈরিতে রাশিয়া দৃঢ় অবস্থানে আছে তা হলো অন্তর্মহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, ছোট পারমাণবিক অস্ত্র, পারমাণবিক ড্রোন এবং সুপারসনিক অস্ত্র।
দীর্ঘ তিন মাস ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধে এই নতুন অস্ত্র আবিষ্কার যুদ্ধে ভিন্ন মাত্রা যোগ করবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
নতুন অস্ত্র উদ্ভাবনের বিষয়ে রাশিয়ার উপপ্রধানমন্ত্রী ইউরি বরিশফ বলেন, নতুন লেজার অস্ত্রের পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। এই অস্ত্র শত্রু দেশের ৩ থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে থেকেই কৃত্রিম উপগ্রহ ও ড্রোন ধ্বংস করে দিতে পারে।
শুধু তাই নয়, পৃথিবীর ১৫০০ কিলোমিটার ওপর থাকা কৃত্রিম উপগ্রহকে মুহূর্তেই অচল করতে সক্ষম এই অস্ত্র।
নতুন উদ্ভাবিত লেজার এই অস্ত্রের নাম দ্য পেরেসভেট সিস্টেম। ধারণা করা হচ্ছে, এই অস্ত্রের নাম করা হয়েছে রাশিয়ার মধ্যযুগীয় সন্ন্যাসী আলেকজাণ্ডার পেরেসভেটের নামে। যিনি যুদ্ধক্ষেত্রে লড়াই করতে গিয়ে মারা যান।
এই লেজার অস্ত্র দিয়ে যে কোনও অস্ত্রের দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতি করা সম্ভব। আর তাই এই অস্ত্র রাশিয়া আমেরিকার নজরদারি বিচ্ছিন্ন করতে এবং ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যবহার করবে বলে মনে করছে অনেক বিশেষজ্ঞরা।
রাশিয়ার এই নতুন প্রজন্মের অস্ত্র উদ্ভাবনের মাধ্যমে তাদের সামরিক শক্তি আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে। যার কারণে আমেরিকা এবং চীনের মতো পরমাণু শক্তিধর দেশগুলোও এই অস্ত্র তৈরিতে উদ্যোগী হয়ে উঠবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা