নভেম্বর ২৭, ২০২২ ১০:৫১ পূর্বাহ্ণ
বিদ্যুৎ, পানি, জ্বালানি কিংবা উষ্ণতা কিছুই পাচ্ছেন না ইউক্রেনের বাসিন্দারা। তবুও চলছে জীবনযুদ্ধ। চরম অসহায়ত্বে পরিবর্তন এনেছে জীবনযাপনে।
রাজধানী কিয়েভের বাসিন্দারা ভবনের ছাদ থেকে নামিয়ে দেওয়া ড্রেনপাইপ থেকে বৃষ্টির পানি সংগ্রহ করছেন। ওই পানিতেই চলছে ধোয়ামোছা, পয়ঃপরিষ্কারের কাজ।
খাবার পানির খালি বোতল আঁকড়ে দাঁড়িয়ে থাকছেন রাস্তায় কিংবা পার্কের পাবলিক ‘ওয়াটার পয়েন্টে’। নাগরিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইউক্রেনের বেশির ভাগ মানুষই এখন ‘সারভাইভাল মোডে’ চলে গেছেন। অর্থাৎ কোনোভাবে দিন পার করার চেষ্টা।
যখন বেঁচে থাকার জন্য দীর্ঘমেয়াদি, মধ্যমেয়াদি কিংবা পরবর্তী কোনো পরিকল্পনা থাকে না। ফোনে চার্জ হলেই যোগাযোগ করছেন পরিবারের মানুষদের সঙ্গে।
পুরো ইউক্রেনেই এখন ক্ষুদেবার্তার প্রধান উদ্দেশ্য, কার বাসায় বিদ্যুৎ কিংবা পানি এসেছে- সেই খোঁজ নেওয়া। শুক্রবারের নিয়মিত ভাষণে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদমির জেলেনস্কি বলেছেন, এখনও ৬০ লাখেরও বেশি বাড়িঘরে বিদ্যুৎ নেই।
তিনি বলেন, এই শীত আমাদের সহ্য করতে হবে। এই শীতকালকে সকলেই মনে রাখবে। দেশটির জাতীয় বিদ্যুৎ কোম্পানি ইউক্রেনেরগো বলেছে, জাতীয় গ্রীডে এখনও ৩০ শতাংশ ঘাটতি রয়েছে।
বিদ্যুৎ পুনরুদ্ধারে প্রকৌশলীরা সার্বক্ষনিক কাজ করে যাচ্ছে। এদিকে বিদ্যুৎ কেন্দ্রে হামলার সমালোচনায় মস্কো জোর দিয়ে বলেছে, তারা কেবল সামরিক সংযুক্ত অবকাঠামোয় হামলা চালিয়েছে। ৎ
সূত্র: এপি