কোরবানি ও ঈদুল আজহা ইসলামের অন্যতম ইবাদত। আল্লাহর সন্তুষ্টি ও তার কৃপা লাভে সামর্থ্যবানরা পশু উৎসর্গ করে থাকেন। আর অন্যসব আমল ও ইবাদতের মতো এগুলোও আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্দেশিত। আল্লাহর রাসুল (সা.) হিজরতের পর প্রতিবছর কোরবানি করেছেন।
কোরবানির ফজিলত সম্পর্কে রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন আল্লাহ তায়ালার নিকট কোরবানির দিন মানবজাতির কোরবানি অপেক্ষা অধিকতর পছন্দনীয় কোনো আমল নেই। বিচার দিনে কোরবানির পশুকে তার শিং, পশম ও খুরসহ উপস্থিত করা হবে। পশুর রক্ত জমিনে পড়ার পূর্বেই আল্লাহ তায়ালার নিকট তা বিশেষ মর্যাদায় পৌঁছে যায়, সুতরাং তোমরা আনন্দচিত্তে কোরবানি করো। (সহিহ তিরমিযি: ১৩৯১)
কোরবানির জন্য নির্ধারিত পশুর দুধ পান করা যাবে না। যদি জবাইয়ের সময় আসন্ন হয় আর দুধ দোহন না করলে পশুর কষ্ট হবে না বলে মনে হয়, তা হলে দোহন না করা। প্রয়োজনে ওলানে ঠান্ডা পানি ছিটিয়ে দেওয়া বা পশুকে কষ্ট না দিয়ে কোনো পদ্ধতি অবলম্বন করা যেতে পারে। যাতে দুধের চাপ কমে যায়। আর যদি দুধ দোহন করে ফেলা হয়, তা হলে তা সদকা করে দিতে হবে। নিজে পান করে থাকলে বর্তমান বাজারদর হিসাব করে দুধের মূল্য সদকা করে দিতে হবে। (ইলাউস সুনান : ১৭-২৭৭; রদ্দুল মুহতার : ৬-৩২৯; ফাতাওয়া আলমগিরি : ৫-৩০১)