আইপিএলের প্রথম ১৪ আসরের মধ্যে নয় আসরেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মুম্বাই ও চেন্নাই। দুইবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে কলকাতা। আর বাকি তিন চ্যাম্পিয়ন রাজস্থান, সানরাইজার্স এবং ডেকান চার্জার্স। তবে এবারের আসরে প্লে-অফেই উঠতে পারেনি চেন্নাই, মুম্বাই, কলকাতার কেউ। আর অন্য তিন চ্যাম্পিয়নদের মধ্যে প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে রাজস্থান। যদি রাজস্থান এবার চ্যাম্পিয়ন না হয় তাহলে এবারের আইপিএলে নতুন চ্যাম্পিয়নের দেখা পাবে বিশ্ব।
এবারের আইপিএলে দেখা গেছে সব ভিন্ন ঘটনা। আইপিএল ইতিহাসে এবারই প্রথম প্লে-অফে উঠতে ব্যর্থ হয়েছে চেন্নাই, মুম্বাই ও কলকাতা। কলকাতার আশা শেষ পর্যন্ত টিকে ছিল, তবে তাদের শেষ ম্যাচে লাখনৌর কাছে নাটকীয় হারে সেই আশাও মাটিতে মিশে যায়। আর গতবারের চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই আর মুম্বাই তো টেবিলের তলানির দুই দল। আসরের প্রথম থেকেই হারকে সঙ্গী করে এবার গ্রুপ পর্ব থেকেই সবার প্রথম দুই দল হিসেবে বিদায় নিয়েছে তারা।
এদিকে চলতি আসরের প্রথম দুই দল হিসেবে প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে লাখনৌ ও গুজরাট। আর প্লে-অফের জায়গা অনেকটা নিশ্চিত হয়ে গেছে আইপিএলের প্রথম আসরের চ্যাম্পিয়ন রাজস্থানেরও। আর বাকি এক দল। সেই একটি স্পটের জন্য লড়ছে কোহলির দল বেঙ্গালুরু ও মুস্তাফিজের দল দিল্লি।
বেঙ্গালুরু গতকাল গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচটি খেলে ফেলেছে। যেখানে তারা টেবিলের শীর্ষ দল গুজরাটকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে। যার ফলে এখন তারা টেবিলের চারে অবস্থান করছে। তবে দিল্লি আগামীকাল (২১ মে) যদি মুম্বাইয়ের বিপক্ষে জয় পায়, তাহলে বেঙ্গালুরুকে হটিয়ে সেরা চারে জায়গা করে নিবে মুস্তাফিজের দল দিল্লি।
প্লে-অফের চার দলের তিন দলই এখনও শিরোপার দেখা পায়নি। রাজস্থান ২০০৮ সালে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। টুর্নামেন্টের সফল তিন দলের বিদায়ে নতুন কোনো চ্যাম্পিয়ন দল দেখা যেতে পারে এবারের আইপিএলে। নবাগত দুই দল তো আছেই। প্লে-অফের দৌড়ে থাকা দিল্লি ও বেঙ্গালুরুও পায়নি শিরোপার দেখা। যদি রাজস্থানের জায়গায় অন্য কোন চ্যাম্পিয়ন না হওয়া দল প্লে-অফে জায়গা করে নিতো তাহলে এবার নতুন কোনো চ্যাম্পিয়ন পাওয়াটা নিশ্চিত হতো।