ইসরায়েলি মন্ত্রীর বিরুদ্ধে ফ্রান্সের নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগ ম্যাক্রোঁর

ইসরায়েলি মন্ত্রীর বিরুদ্ধে ফ্রান্সের নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগ ম্যাক্রোঁর

আন্তর্জাতিক

জুলাই ১২, ২০২৪ ৮:১৬ পূর্বাহ্ণ

ইসরায়েলের অভিবাসী বিষয়ক মন্ত্রী অ্যামিচাই চিকলির বিরুদ্ধে ফ্রান্সের সদ্যসমাপ্ত জাতীয় নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে এ ইস্যুতে নালিশও জানিয়েছেন তিনি।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম এক্সিওসের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে রুশ সংবাদমাধ্যম আরটি।

গত ৩০ জুন ফ্রান্সের পার্লামেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়েছে। এর চার দিন আগে ইসরয়েলের বেতার সংবাদমাধ্যম কান ব্রডকাস্টারকে একটি সাক্ষাৎকার দেন অ্যামিচাই চিকলি। সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘যদি লে পেন (ম্যাক্রোঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ডানপন্থি নেত্রী ম্যারিন লে পেন) ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট হন, তাহলে তা ইসরায়েলের জন্য দারুন একটি সুখবর হবে। আমি এর পক্ষে অন্তত ১০টি যুক্তি হাজির করতে পারি। যদি তিনি প্রেসিডেন্ট হন, তাহলে ইসরায়েল রাষ্ট্রের জন্য তা সবদিক থেকেই মঙ্গলজনক।’

ফ্রান্সের পার্লামেন্ট নির্বাচনের প্রথম দফায় জয় পায় মেরিন লে পেনের কট্টর ডানপন্থি দল ন্যাশনাল র‌্যালি।

দ্বিতীয় দফার ভোট হয় গত ৭ জুলাই। এতে জয় পায় বামপন্থি জোট নিউ পপুলার ফ্রন্ট (এনএফপি)। কিন্তু দ্বিতীয় দফা ভোটেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি কোনো দলই। ফলে গঠিত হতে যাচ্ছে ঝুলন্ত পার্লামেন্ট।

গত মঙ্গলবার (৯ জুলাই) এক্সিওস জানায়, ইসরায়েলি মন্ত্রী অ্যামিচাই চিকলির ওই সাক্ষাৎকারের পরদিনই নেতানিয়াহুকে ফোন করেন ম্যাক্রোঁ। ফোন করে তিনি বলেন, অ্যামিচাই চিকলির বক্তব্য পুরোপুরি অগ্রহণযোগ্য এবং এটি নির্বাচনে হস্তক্ষেপের শামিল।

প্রতিবেদন মতে, নেতানিয়াহু ম্যাক্রোঁকে আশ্বস্ত করেন, তিনি তার সব মন্ত্রীকে ফরাসি নির্বাচনের বিষয়ে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।

মেরিন লে পেন ফ্রান্সের কট্টর ডানপন্থি রাজনীতিক হিসেবে পরিচিত। তার দল ন্যাশনাল র‌্যালি বরাবরই মুসলিমদের অভিবাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার। ন্যাশনাল র‌্যালির বর্তমান প্রধান জরদান বারদেলা লে পেনের বিশ্বস্ত ও আস্থাভাজন।

গত মাসে এক সাক্ষাৎকারে বারদেলা বলেন, তার দল একেবারেই ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়ার পক্ষে নয়। ন্যাশনাল র‌্যালি মনে করে, ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি প্রদান আর সন্ত্রাসবাদকে স্বীকৃতি দেয়া একই ব্যাপার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *