ঢালিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। সোশ্যাল মিডিয়ার বুলিংয়ের শিকার হয়েছেন তিনি। আগে ফারিয়াকে দেখা যেতো এই বিষয়ে মুখ খুলতে। তবে ইদানীং চুপ করে থাকেন তিনি। কেন থাকেন এবার সেই ব্যাখ্যা দিলেন এই অভিনেত্রী।
সাম্প্রতিক সময়ে একটি দেশীয় গণমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে বুলিং প্রসঙ্গে শবনম ফারিয়া বলেন, আমার সমুদ্র খুব পছন্দ। এজন্য ছুটি পেলেই কক্সবাজারে বেড়াতে যাই। কিন্তু সেখানে গেলে আমার ত্বকে অনেক সমস্যা হয়। এমনকি হোটেল রুমে থাকলেও ত্বকে র্যাশ উঠে যায়। কোনও কারণে ওয়েদারটা আমাকে স্যুট করে না। কিন্তু আমি যখন সমুদ্রের সামনে যাই, সব ভুলে যাই। আমার এলার্জি হবে, ত্বক কালচে হয়ে যাবে, এসব কিছু ভুলে যাই।
এই সমুদ্র সফরের সঙ্গেই বুলিংয়ের তুলনা করলেন শবনম ফারিয়া। তার ভাষ্য, বুলিংয়ের ব্যাপারটাও এরকম। অভিনয় করার প্ল্যান কখনও ছিল না। অপ্রত্যাশিতভাবে এই জগতে আসা। সেখানে আমি এত মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি! এই জিনিসটা তো আমি কখনও আশা করিনি। এটাই আমার জন্য অনেক বেশি। আর বুলিং যেটা হয়, আমি যদি অভিনেত্রী না হয়ে অন্য কোনও পেশায় থাকতাম, সেখানেও কোনও না কোনোভাবে মেয়েরা বুলিংয়ের শিকার হয়। একটা ময়েকে যেকোনও কথা বলা সহজ। একটা ছেলেকে হয়তো ইজিলি কিছু বলতে পারে না। কিন্তু একটা মেয়ের সম্পর্কে যেকোনও একটা কথা ছড়িয়ে দেওয়া সহজ।
বুলিংয়ের প্রতিবাদে সরব হলেও তাতে ইতিবাচক ফল আসে না বলে মনে করেন ফারিয়া। তাই চুপ থাকা আয়ত্ত করে নিয়েছেন। এ বিষয়ে তিনি বললেন, আমি আগে এটা পারতাম না। সব কিছুতে বলে ফেলতাম। বয়সের সঙ্গে এখন এই জিনিসটা আমার মধ্যে এসেছে, এখন আমি চুপ করে থাকতে পারি। আলোচনা, সমালোচনা, ভালো কথা কিছুই চাই না। যা হচ্ছে হোক, আমি চুপচাপ থাকবো। আসলে দর্শক ও সাংবাদিক ভাইবোনেরা মাঝে মাঝে ভুলে যায় যে আমরাও মানুষ, আমাদেরও আবেগ কাজ করে, পরিবার, সমাজ আছে। তবে সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো, আমি এখন ইগনোর করতে শিখে গেছি। কেউ কিছু বললে গায়ে মাখি না, যা ইচ্ছে বলুক।