শেরপুরে যুবক সাজ্জাত হোসেন হত্যাকাণ্ডের আসামিদের গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত

দেশজুড়ে

আগস্ট ২৬, ২০২৪ ৯:৩০ অপরাহ্ণ

ছামিউল আলম সোহান

শেরপুরের সদর উপজেলায় প্রেম সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত যুবক সাজ্জাত হোসেনের (২৮) হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসীর আয়োজনে সদর উপজেলার কানাশাখোলা বাইপাস মোড়ে এসব কর্মসূচি পালন করা হয়।
সোমবার বেলা ১১ টা থেকে ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে নিহত সাজ্জাতের মা রেজিয়া খাতুন, স্ত্রী নাসিমা বেগম, ফুফাত ভাই মইনুল ইসলামসহ কয়েকজন এলাকাবাসী বক্তব্য দেন। মানববন্ধন ও বিক্ষোভে প্রায় দুইশত এলাকাবাসী অংশ নেন। এ সময় নিহতের স্বজনেরা বক্তব্য দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সদর উপজেলার মধ্যবয়ড়া নামাপাড়া গ্রামে প্রেম সংক্রান্ত একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে বেশ কিছুদিন ধরে প্রতিবেশী আব্দুস সালামের ছেলে আবু রায়হানের সঙ্গে সাজ্জাত হোসেনের বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে গত ২১ আগস্ট বুধবার রাতে আবু রায়হানের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী সাজ্জাত হোসেনের মধ্যবয়ড়া নামাপাড়া গ্রামের বাড়িতে হামলা করে। এ সময় সন্ত্রাসীরা দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে নৃশংসভাবে সাজ্জাতকে হত্যা করে। সাজ্জাতকে রক্ষা করতে তাঁর মামা মমিন ও মামাত ভাইয়েরা এগিয়ে গেলে সন্ত্রাসীরা তাঁদেরকেও আক্রমণ করে গুরুতর আহত করে।

মানববন্ধনে নিহত সাজ্জাতের মা রেজিয়া খাতুন অভিযোগ করে বলেন, তাঁর ছেলে সাজ্জাত ঢাকায় চলে গিয়েছিলেন। কিন্তু প্রতিবেশী আবু রায়হান খবর দিয়ে ঢাকা থেকে বাড়িতে ডেকে এনে তাঁর (সাজ্জাত) ছেলের ওপর হামলা চালিয়ে তাঁকে খুন করেছেন। এ ঘটনায় সদর থানায় ১৮ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা হলেও এখন পর্যন্ত কোন আসামি গ্রেপ্তার হয়নি। ছেলের হত্যাকাণ্ডে জড়িত আসামিদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবি জানান মা রেজিয়া।

এ ব্যাপারে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা হয়েছে। বর্তমানে আসামিরা পলাতক রয়েছে। তবে আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশি চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ২১ আগস্ট বুধবার রাতে সদর উপজেলার ভাতশালা ইউনিয়নের মধ্যবয়ড়া নামাপাড়া গ্রামে দুর্বৃত্তদের হামলায় সাজ্জাত হোসেন মারা যান। নিহত সাজ্জাত ওই গ্রামের মৃত শামছুল হক ও রেজিয়া খাতুনের ছেলে। তিনি পেশায় রাজমিস্ত্রি ছিলেন।

হামলার ঘটনায় আরও ৩ জন গুরুতর আহত হন। তাঁরা হলেন, মধ্যবয়ড়া নামাপাড়া গ্রামের আব্দুল মমিন মুক্তার এবং মুক্তারের দুই ছেলে মামুন ও শামীম। আহতেরা বর্তমানে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আহত মুক্তার নিহত সাজ্জাত হোসেনের মামা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *