ঢাকায় শুরু হলো আন্তর্জাতিক হেলথকেয়ার মেলা

জাতীয়

সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২৩ ৫:৩৩ অপরাহ্ণ

রাজধানীর শাহবাগে অবস্থিত বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব কনভেনশন হলে শুরু হয়েছে বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল হেলথকেয়ার এক্সপো-২০২৩।

আজ (২৮ সেপ্টেম্বর) বৃহস্পতিবার দুপুরে তিন দিনব্যাপী এই মেলার উদ্বোধন করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শারফুদ্দিন আহমেদ।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. শাহ মনির হোসেন, ইন্টারন্যাশনাল হেলথকেয়ার এক্সপোর আয়োজক মুরাদ হোসাইন, এমপ্যাথি সলিউশনের (ইন্ডিয়া) ডিরেক্টর দালিপ কুমার চোপড়া, এনএবিএইচের প্রশিক্ষক ডা. শক্তি দত্ত শর্মা, বামরুনগাদ হসপিটাল থাইল্যান্ডের সিবিও রাজিব রাজন, মেদান্তা হাসপাতাল ইন্ডিয়ার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট নবনীত মালহোত্রা।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে (বিএসএমএমইউ’র) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন বলেন, এক্সপোতে ৮ থেকে ১০ টি বৈজ্ঞানিক সেমিনার আয়োজন করা হয়েছে। আমাদের প্রত্যাশা এই সেমিনারের মাধ্যমে বাংলাদেশের চিকিৎসকদের নানা ধরনের অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ মিলবে।

ঢাকায় ইন্টারন্যাশনাল হেলথকেয়ার মেলা- ২০২৩ এ প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিএসএমএমইউ উপাচার্য

বিএসএমএমইউ উপাচার্য বলেন, যেহেতু বিশ্বে ভিন্ন দেশে চিকিৎসা বিজ্ঞানে প্রযুক্তির প্রসার ঘটেছে,বাংলাদেশও পিছিয়ে নেই। সুযোগ এসেছে দেশের বাইরে থেকেও বাংলাদেশে এসে কম খরচে চিকিৎসা সেবা নেওয়ার।

বিশেষ করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় কিডনি প্রতিস্থাপন, হৃদরোগ, বন্ধ্যাত্বের সুচিকিৎসা ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে। অন্যান্য দেশের মানুষ চাইলে বাংলাদেশে এসে কম খরচে চিকিৎসা সেবা নিতে পারে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. শাহ মনির হোসেন বলেন, অনেকেই একই মেলার উদ্দেশ্য সম্পের্ক জানতে চান। আমি বলতে চাই এই মেলার উদ্দেশ্য বিভিন্ন দেশের হাসপাতাল ও মেডিকেল প্রযুক্তি এবং চিকিৎসা ব্যবস্থা সম্পর্কে জ্ঞান লাভ ও পারস্পরিক প্রযুক্তি বিনিময়ের সুযোগ তৈরি হবে।

যার ফলে নিজের প্রয়োজনে জেনে শুনে মানুষ যেমন দেশের বাইরে চিকিৎসা নিতে যেতে পারবে, একইভাবে যেসব ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এগিয়ে সেসব চিকিৎসা বাংলাদেশে এসে নেওয়া সুযোগ পাবে।

ইন্টারন্যাশনাল হেলথকেয়ার এক্সপো-২০২৩ এ বাংলাদেশসহ ভারত, ইরান, তুরস্ক, থাইল্যান্ড এবং মালয়েশিয়ার হাসপাতালসহ ৩০টির বেশি হাসপাতাল ও হেলথকেয়ার পরিষেবা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে এ মেলা চলবে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ১০ থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত এই মেলা চলবে। মেলাতে দর্শনার্থীদের জন্য বিনামূল্যে পরিদর্শনের সুযোগ থাকছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর দুইদিনব্যাপী কয়েকটি সেশনে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের চিকিৎসক ও চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের অংশ গ্রহণে বৈজ্ঞানিক সেমিনার ও চিকিৎসক, মেডিকেল ভ্যালু ট্রাভেল ফ্যাসিলিটেটর, স্বাস্থ্য কর্মীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা থাকছে ।

এছাড়া মেলায় পরিষেবা প্রতিষ্ঠানগুলোর সর্বশেষ প্রযুক্তি, পণ্য এবং পরিষেবা প্রদর্শন করবে। এটি আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্যসেবা/পেশাজিবীদের সাথে বিশ্বের সর্বাধুনিক চিকিৎসা উদ্ভাবন তথ্য আদান-প্রদান, স্বাস্থ্য সেক্টরে পারস্পরিক সহায়তা, নলেজ শেয়ারিং, টেকনোলজি ট্রান্সফারের সুযোগ করে দিবে যা বাংলাদেশ এবং এর বাইরেও স্বাস্থ্যসেবার ভবিষ্যত গঠনে সহায়তা করবে।

/এসএস/শীখ/

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *