ডেটা সেইফ-ক্লিন-প্রসেসেবল করার মাধ্যমে ডেটা-ড্রিভেন ডিসিশন মেকিং ইকোসিস্টেম গড়ে তোলা সম্ভব : প্রতিমন্ত্রী পলক

ডেটা সেইফ-ক্লিন-প্রসেসেবল করার মাধ্যমে ডেটা-ড্রিভেন ডিসিশন মেকিং ইকোসিস্টেম গড়ে তোলা সম্ভব : প্রতিমন্ত্রী পলক

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

জুন ৪, ২০২৪ ১১:৪৮ পূর্বাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, দেশের মেধাবী ছেলেমেয়েদের মেধা এবং প্রযুক্তির সমন্বয় ঘটিয়ে আমাদের ডেটাগুলোকে যদি সেইফ-ক্লিন-প্রসেসেবল করতে পারি, তাহলে আমরা ডেটা-ড্রিভেন ডিসিশন মেকিং-এর ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে পারবো। তিনি বলেন, বর্তমানে প্রায় ১২ কোটি হেলথ ডেটার পাশাপাশি এডুকেশন ডেটা, মোবাইল অপারেটরদের ডেটাগুলোকে আমরা যদি প্রসেসেবল করতে পারি, তাহলে সেখান থেকে নতুন নতুন স্টার্টআপ উপহার দেয়া সম্ভব।

প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দেশের সর্ববৃহৎ ডেটা সায়েন্স প্রতিযোগিতা ‘ডেটাথন’ এর তৃতীয় সংস্করণ-এর গ্র্যান্ড ফিনালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যোর মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশে নিযুক্ত মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার হাজনাহ মো. হাশিম, বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল খান, রবি আজিয়াটা লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) রাজীব শেঠি।

প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, রোবোটিক্সের জন্য প্রচুর পরিমাণে প্রসেসেবল ডেটার প্রয়োজন। সেজন্য ডেটার ক্ল্যাসিফিকেশন প্রয়োজন, যাতে করে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা, দেশের সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে না পড়ে। প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের পরামর্শে আমরা প্রাইভেট ডেটা প্রটেকশন অ্যাক্ট খুব শীঘ্রই প্রণয়ণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যাতে আমরা ডেটার ক্ল্যাসিফিকেশনের সাথে সাথে ব্যাক্তিগত নিরাপত্তা, দেশের সার্বভৌমত্ব সুরক্ষিত রাখতে পারি।

পলক বলেন, আইসিটি ডিভিশন থেকে আমরা স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিঃ কোম্পানি স্থাপন করেছি। যেখান থেকে আমরা ৫০টি কোম্পানিতে ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছি। ইক্যুইটি ইনভেস্টমেন্টের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও ৫০০ কোটি টাকা দিয়েছেন। তিনি বলেন, আগামী ৫ বছরের মধ্যে আরও ৫টি ইউনিকর্ণ প্রতিষ্ঠান এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ৫০টি ইউনিকর্ণ প্রতিষ্ঠান সারা বিশ্বকে উপহার দেয়া সম্ভব হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ ভিশন অর্জনে আমাদের স্টার্টআপরাই হবে মূল চালিকাশক্তি হবে বলেও জানান।

ডেটা সেইফ-ক্লিন-প্রসেসেবল

পরে প্রতিমন্ত্রী বিজয়ী তিন দলের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।

উল্লেখ্য, দেশের শীর্ষস্থানীয় ফোরজি ও ডিজিটাল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান, রবি আজিয়াটা লিমিটেড আয়োজিত ডেটাথন ৩.০-এর চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে টিম ‘এসিআই সার্ভার ডাউন’। প্রথম রানার আপ হয়েছে টিম ‘ইয়েলো কিং’ এবং দ্বিতীয় রানার আপ হয়েছে টিম ‘বিগ ডেটা এআই ডেটা সায়েন্স’। এসিআই সার্ভার ডাউন চ্যাম্পিয়ন হিসেবে পেয়েছে ৫ লাখ টাকা সমমূল্যের পুরস্কার। প্রথম রানার আপ ইয়েলো কিং ৩ লাখ এবং দ্বিতীয় রানার আপ বিগ ডাটা এআই ডাটা সায়েন্স পেয়েছে ২ লাখ টাকার পুরস্কার। ডেটাথন ৩.০ প্রতিযোগিতায় ৩,৫০০ জনেরও বেশি প্রতিযোগী ১,০০০ টিরও বেশি দলে বিভক্ত হয়ে অংশগ্রহণের জন্য নিবন্ধন করে। নানা ধাপে আয়োজিত প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বে ২৩টি দলের ৯৯ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করে। গত ২৪ ও ২৫ মে রবি করপোরেট অফিসে আয়োজিত ৪৮ ঘণ্টার ম্যারাথন প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ডেটাথন ৩.০-এর বিজয়ী নির্ধারণ করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *